জামায়াত-শিবিরের কেউ যেন পুলিশে ঢুকতে না পারে : প্রধানমন্ত্রী
পুলিশ বাহিনীতে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বীধানতাবিরোধী ও জামায়াত-শিবিরের কেউ যেন পুলিশ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সে, ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
সম্পূরক প্রশ্নে মাইজভান্ডারী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর, আলশামসের ছেলে-মেয়েরা যাতে পুলিশ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সেক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের অবস্থান কী হবে? এক্ষেত্রে সরকারের কোনো নীতিমালা আছে কি?
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশের জনবল গ্রহণের জন্য একটি নীতিমালা আছে। তবে এটা ঠিক বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩-২০১৪ নির্বাচন ঠেকানোর প্রচেষ্টা এবং ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত একের পর এক যে তাণ্ডব চালিয়েছিল। তাদের তাণ্ডব থেকে পুলিশের সদস্যরাও রেহাই পায়নি। পুলিশও তাদের দ্বারা নির্মমভাবে হত্যার স্বীকার হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনী যখন লোক (জনবল) গ্রহণ করে, তখন এর দায়িত্বে থাকে পুলিশ বাহিনীর অফিসাররা। আমি মনে করি, তাদের এই কথাগুলো একটু মনে রাখা উচিত। কারণ বিএনপি-জামায়াত তাদের ওপর কী অত্যাচার করেছে। তাদের প্রায় ১৮/১৯ জন পুলিশের সদস্যকে তারা হত্যা করেছে।
‘কাজেই সেই জামায়াত-শিবিরের লোক পুলিশ বাহিনীতে ঢোকার ক্ষেত্রে তারা সচেতন হবে এটাই আশা করি। তবে এখানে আমরা ঠিক হস্তক্ষেপ করতে চাই না।
কিন্তু এটা তাদের দেখা উচিত, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারা লিপ্ত ছিল; যারা এই ধরনের অগ্নিসন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল, তারা যাতে পুলিশ বাহিনীর মত সুশৃঙ্খল বাহিনীতে আসতে না পারে এটা দেখার দায়িত্বও তাদের । আশা করি তারা এটা দেখবে।’
প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল এমন কেউ থেকে থাকলে তাদের তথ্য গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে দেবেন। তারা সেটা যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেবে।
মন্তব্য চালু নেই