বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার চুক্তি বৈধতা হারাবে না
মালয়েশিয়ার সরকার বিদেশি শ্রমিক নেওয়া স্থগিতের ঘোষণা দিলেও তাতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার চুক্তিতে প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। শনিবার দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছে।
স্টার অনলাইনে প্রকাশিত বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রায়ত জায়েম বলেন, দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি সব ‘সোর্স কান্ট্রি’ থেকে জনশক্তি আমদানি স্থগিতের যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাকে তিনি স্বাগত জানান, কেননা এর মধ্য দিয়ে স্থানীয় শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে, ওই ঘোষণা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের বৈধতায় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন রিচার্ড রায়ত।
অবশ্য সমঝোতা অনুযায়ী মালয়েশিয়া সরকার তাদের পাঁচটি খাতের জন্য এখনই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেবে কি না- তা ওই বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়নি।
বিদেশি শ্রমিক নেওয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের বিষয়ে সরকার শিগগিরই ‘বিস্তারিত জানাবে’ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী রিচার্ড রায়ত এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় ওই সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
ওই চুক্তির আওতায় মালয়েশিয়া তাদের পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী নেবে বলে অনুষ্ঠানের পর জানানো হয়।
কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই শুক্রবার সকালে মালয়েশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি বাংলাদেশসহ সব ‘সোর্স কান্ট্রি’ থেকে জনশক্তি আমদানি স্থগিতের ঘোষণা দেন, যা নিয়ে দুই দেশেই শুরু হয় তুমুল আলোচনা।
মন্তব্য চালু নেই