বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে সন্তুষ্ট এইচঅ্যান্ডএম
তৈরি পোশাকের বৃহত্তম ক্রেতা সংগঠন ইউরোপীয় ইউনিয়নের এইচঅ্যান্ডএম প্লাস ট্রেডিং ফেয়ার ইষ্ট লিমিটেড বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে তারা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানির ঘোষণাও দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) কার্ল জোহানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের ওইসব কথা জানান।
এ সময় বিজিএমইএ-এর সভাপতি আতিকুল ইসলাম, এইচঅ্যান্ডএম প্লাসের সিএফও জারকি টারভোনেন, হেড অব প্রডাকশন কেজি ফেজারলিন, কান্ট্রি ম্যানেজার রজার হোবার্ট উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার পোশাক খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য যেসব উদ্যোগ নিয়েছে তা ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এবার প্রমাণ হল পৃথিবীর বৃহত্তম ক্রেতা সংগঠন বাংলাদেশে এসেছে পোশাক আমদানি করতে। এতে আমাদের রপ্তানি বাড়ার সুযোগ রয়েছে।’
‘২০২১ সালের মধ্যে শুধু তৈরি পোশাক রপ্তানি করে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হবে। রানা প্লাজা ধসের পর আন্তর্জাতিক ক্রেতারা এখন বাংলাদেশের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগে সন্তুষ্ট। তারা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। অনেক বড় বড় কোম্পানি বাংলাদেশে আসছে। এজন্য সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির উদ্যোগ গ্রহন করেছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যেখানে অ্যালায়েন্স ও অ্যাকর্ড তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেছে। সেখানে তারা দেখেছে মাত্র ২ শতাংশ কারখানা ঝুঁকিপূর্ণ।’
‘বর্তমানে পোশাক কারখানার মালিকরা অনেক যত্নবান হয়েছে’ উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, ‘কারখানার নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে তারা। অগ্নিপ্রতিরোধক ব্যবস্থাসহ নতুন ভবন নির্মাণ করছে। এছাড়া কারখানা আধুনিকায়ন করতে যেসব যন্ত্রপাতি প্রয়োজন সেগুলোকে শুল্কমুক্ত করে দেয়া হয়েছে।’
কার্ল জোহান বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। গত দুই দিন আমরা বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করেছি। এতে পোশাক খাতের অগ্রগতিতে আমরা সন্তুষ্ট। ধীরে হলেও কারখানাগুলোর উন্নয়ন হচ্ছে।’
মন্তব্য চালু নেই