ইসিকে শক্তিশালী করতে বলল ইইউ
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে এ ব্যাপারে ইইউ চাপ দেবে না।
বাংলাদেশে তিন দিনের সফর শেষে হোটেল সোনারগাঁওয়ে শুক্রবার বিকেলে ইইউ’র প্রতিনিধি দলের প্রধান ও পার্লামেন্টের সদস্য জেন লামবার্ট এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে পুরোপুরি স্বাধীন কমিশন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে সরকারকে সর্বোচ্চ সংখ্যক রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এই পরিবেশ সরকারকেই তৈরি করতে হবে।
মানবাধিকার ও ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে জেন লামবার্ট বলেন, ব্লগার হত্যাসহ নানা ধরনের হত্যার ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেছে। এসব হত্যাকাণ্ডে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ইইউ উদ্বিগ্ন।
মানুষের স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে মুক্ত চর্চার স্বাধীনতা দিতে হবে। এই স্বাধীনতা না থাকলে গণতন্ত্র ব্যাহত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্লগার হত্যাসহ দেশে যেকোনো হত্যাকাণ্ডের বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে অনুসন্ধান করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির জন্য কেন ইইউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে- সংবাদিকদের এমন প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, তারা কোনো দল বা ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড নিয়ে নয়, বিশ্বের কোনো দেশে যেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া না হয়- সেই আহ্বান সব সময়ই জানায়। তবে শুধু একজনের ফাঁসি কার্যকরের আগে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ না করে প্রত্যেকটা ফাঁসি কার্যকরের পূর্বে বিবৃতি দেওয়া উচিত ছিল।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কে তিনি বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকলে গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। তাই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
পোশাক শিল্পের উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। ইইউ পোশাক খাতের উন্নয়নে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছে।
মন্তব্য চালু নেই