চা-দোকানিকে পুড়িয়ে হত্যা

দ্বিতীয় তদন্ত প্রতিবেদনেও অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ

মিরপুরের শাহআলী থানা এলাকায় চা-দোকানি বাবুল মাতুব্বরকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় দ্বিতীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও ওসি একেএম শাহীন মণ্ডলসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

রাজধানীর মিরপুর বিভাগের এডিসি মাসুদ আহাম্মদ প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার তাদের প্রতিবেদন ডিসির কাছে জমা দিয়েছে।

ওসি ছাড়া অন্য চারজন হলেন- শাহআলী থানার সদ্য সাবেক এসআই মমিনুর রহমান খান, এসআই একেএম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা, এএসআই দেবেন্দ্রনাথ সরকার ও কনস্টবেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। বাবুল হত্যার ঘটনায় এই চার পুলিশ সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

এর আগে গত রবিবার এ-সংক্রান্ত পৃথক একটি তদন্ত প্রতিবেদন ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন উপ-কমিশনার (শৃঙ্খলা) টুটুল চক্রবর্তী। ওই প্রতিবেদনে ওসিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

চাঁদার দাবিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুরের গুদারাঘাট এলাকায় শাহআলী থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে সোর্স দেলোয়ার চা বিক্রেতা বাবুলের শরীরের ওপর কেরোসিনের স্টোভ ছুড়ে মারেন। এতে দগ্ধ হয়ে পরদিন দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান বাবুল। ওই দিনই পুলিশের চার সদস্যসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরদিন শুক্রবার শাহআলী থানার ওসি শাহীন মণ্ডলকে প্রত্যাহার করা হয়।

বাবুলের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের মিরপুর বিভাগের এডিসি মাসুদ আহাম্মদকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। একই ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ডিসি টুটুল চক্রবর্তীকে প্রধান করে আরেকটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। দুটি তদন্ত কমিটি পৃথকভাবে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই