বিশ্বকাপই খেলা উচিৎ নয় পাকিস্তানের

খুবই কঠিন কথা। কিন্তু বলতে বাধ্য হলেন পাকিস্তানের ড্যাশিং অলরাউন্ডার শহিদ আাফ্রিদি। এত বাজে পারফরমেন্স যে দলটির, তারা বিশ্বকাপে গিয়ে কি করবে? প্রশ্ন তুললেন পাকিস্তানের অন্তর্বর্তিকালীন অধিনায়ক।
রোববার রাতে আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে পাকিস্তানের জয়ই নিশ্চিত ধরে নিয়েছিল সবাই। কিন্তু নিশ্চিত জয়ের ম্যাচটিই কি না শেষ পর্যন্ত হেরে গেলো ১ রানে। মিসবাহ-উল হকের পরিবর্তে এই ম্যাচটিতে অধিনায়ক ছিলেন আফ্রিদি।
শেষ ওভারে যখন মাত্র দু রান প্রয়োজন, তখন দেখা গেলো ড্রেসিং রুমের সামনে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে ক্রিজে থাকা ব্যাটসম্যানদের নির্দেশনা দিচ্ছেন আফ্রিদি। কিন্তু কোন লাভই হলো না তাতে। সোহেল তানভির এবং মোহাম্মদ ইরফানকে আউট হতে হলো ১ রান দুরে থাকতেই।
এমন পরাজয়ের পর দলের ওপর ক্ষিপ্ত আফ্রিদি বলেন, ‘এত বাজে পারফরমেন্সের পর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে খেলার কোন মানেই হয় না। ওখানকার বাউন্সি উইকেটে তো ব্যাটসম্যানরা পেসারদের সামলাতেই পারবে না।’
আগের দু’ম্যাচে পরাজয়ের পর যখন সিরিজ হারিয়ে ফেললো, তখন শেষ ওয়ানডেতে অনেকগুলো পরিবর্তন আনে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট। আবু ধাবিতে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং দেখে মনে হচ্ছিল যে পরিবর্তনটা কাজে লেগেছে। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের নিদারুন ব্যর্থতা যারপরনাই অবাক করেছে সবাইকে। মাত্র ২৩২ রানের লক্ষ্য ছুঁতে পারল না ব্যাটসম্যানরা।
৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর আফ্রিদি বলেন, ‘উইকেট, কন্ডিশনসহ সবকিছুই অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে পাকিস্তানেরই পক্ষে ছিল। আমি মনে করি, এমন উইকেটেও যদি আমাদের ব্যাটসম্যানরা রান তুলতে না পারে, তাহলে আর কোথাও তারা রান পাওয়ার কথা নয়। সুতরাং, আমাদের এ বিষয়ে আরও অনেক বেশি চিন্তা ভাবনা করতে হবে। সুতরাং, এমন পারফরমেন্স নিয়ে আমি মনে করি না পাকিস্তানের বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া উচিৎ।’
অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১ রানের হার, পাকিস্তানের টানা পঞ্চম ওয়ানডে পরাজয় এবং আরও একবার প্রমানিত হলো দেশটির ব্যাটিং দুর্বলতা সবচেয়ে বেশি। আফ্রিদি বলেন, ‘আমরা যদি পুরো সিরিজের দিকে তাকাই, তাহলে দেখবো আমাদের বোলাররাই কেবল সামথ্য অনুযায়ী ভালো করেছে। উইকেট দেখেই মনে হয়েছিল তারা অন্তত ২৮০ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারবে। কিন্তু আমাদের বোলাররা তাদেরকে বেধে ফেলেছে ২৩১ রানের মধ্যেই। যেটাকে আমার মনে হচ্ছিল যেন একটি টি২০ ম্যাচ। আমাদের মূল সমস্যা হলো একটি ভালো মানের পার্টনারশিপ গড়ে না ওঠা। যখনই একটি পার্টনারশিপ গড়ে উঠতে চেষ্টা করে, তখনই উইকেটের পতন ঘটে।’
অধিনায়কত্ব নিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘এটা বোর্ডকেই ক্লিয়ার করা উচিৎ যে, অধিনায়ক আমি না মিসবাহ। কারণ, এ ব্যাপারে আমরা এখনও কেউ কিছু জানি না। বোর্ড যদি বিষয়টা পরিষ্কার করে দেয়, তাহলে সবার জন্যই ভালো। যদি বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমিই অধিনায়ক থাকি তাহলে বিষয়টা আমার জানা থাকলো এবং আমি সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে শুরু করবো।’



মন্তব্য চালু নেই