‘ওমার সংগঠন আছে, হামার কী আছে…’
ঠাকুরগাঁও এক সংখ্যালঘু পরিবারে ৮০ বছর বয়সী আমধুরাম রায় এমন মন্তব্য করে বলেন, ওরা সংঘবদ্ধ, ওদের সংগঠন আছে, ওরা দাপটশালী। হামার কি আছে? দ্যাশটা স্বাধীন হলেও হামরা এলাউ স্বাধীন হইনি। একই সুরে বলে ওঠেন গ্রামের বিপিন চন্দ্র বর্মন।
স্থানীয় লোকজনেরা জানান, গত ১৯ জানুয়ারি ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড শ্রমিক ইউনিয়নের একদল সদস্য মালিকানা দাবি করে ওই গ্রামের বিপিনের জমিতে ঘর তোলে। এ নিয়ে গ্রামবাসীরা ভীত হয়ে পড়ে।
পরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১২নং সালান্দর ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে এলাহী মুকুট চৌধুরী খবর পেয়ে, এলাকার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। এর প্রতিবাদে শ্রমিকরা ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে। পরে প্রশাসনের মধ্যস্থয় অবরোধ তোলে নেয়।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ভুট্টু মিয়া জানান, তার সংগঠনের সদস্য আসাদুল ইসলামের মা আছিয়া বেগম ১৯৭৪ সালে ঘৃত্য নাথ বর্মনের পরিবারের কাছে জমি কিনে। পরে এই জমি বিপিন চন্দ্রকে বর্গা দেন। কিন্তু বিপিন তা সঠিক নয় বলে দাবি করে বলেন ওই জমির মালিক তিনি।
তার ছেলে বাজারু বর্মন বলেন, ওরা জবর দখলকারী। তিনি আরও বলেন, জমি জায়গার জন্য আইন আদালত রয়েছে। কিন্তু একটি সংগঠন এভাবে জমি দখল করতে পারে না।
হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.ইন্দ্রনাথ রায় বলেন, একটি মহল দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে এই হীন কাজে জড়িয়েছে।
উল্লেখ, উভয় পক্ষকে নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের বৈঠক হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই