সড়ক দুর্ঘটনা : অজুহাত নয়, চাই আইনের প্রয়োগ
সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
দুর্ঘটনায় ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের ছেলের মৃত্যুর একদিন পর রোববার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই উদ্বেগের কথা জানান। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এ সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কারও কাম্য নয়। সড়ক ও রাজপথের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হবে। নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার সীমাও ছাড়িয়ে গেছে এখন।’
তিনি বলেন, ‘বছরে ছয় হাজারের উপরে লোক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এক বঙ্গবন্ধু সেতুর কাছেই সাতজন মারা যাওয়ায় দেশবাসী উদ্বিগ্ন, সাথে আমরাও উদ্বিগ্ন। রাজপথের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হবে।’ ‘অজুহাত না দিয়ে আইনের প্রয়োগ করতে হবে’ বলেন সাবেক এই মন্ত্রী।
বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক রহমানের পরামর্শে বিএনপি পরিচালিত হওয়ায় দলটির সংকট কাটছে না মন্তব্য করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘বিএনপি কর্মীদের মধ্যে নবচেতনার উদ্ভব হচ্ছে। তারা নিজেরাই ভুল স্বীকার করছেন। তবে কোথায় কোথায় ভুল ছিল স্পষ্ট করে বলছেন না তারা।’
‘তবে এই ভুলগুলোর দায় কে নেবে?’ বিএনপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন সুরঞ্জিত। বলেন, ‘বুদ্ধি দেবে তারেক রহমান আর সিদ্ধান্ত নেবে খালেদা জিয়া; এভাবে এত বড় দল চলতে পারে না।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘জোট ভাঙবে আপনাদের আর দেউলিয়া হবে আওয়ামী লীগ- এটা কেমন কথা? আওয়ামী লীগের চিন্তা না করে নিজেদের জোট ঠিক করুন। ক্ষমতালোভী রাজনীতিনির্ভর দল চলতে পারে না।’
‘ভেজাল মাল জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধুর সাথে তুলনা করে কিছু দিন চলেছেন। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করেছেন। ৭ মার্চের ভাষণ শুনতে দেন নাই। পাকিস্তানি ভাবধারা চালু করতে চেয়েছিলেন’, ফখরুলের উদ্দেশ্যে বলেন সুরঞ্জিত।
বিএনপির সংকট সমাধানে পথও বাতলে দেন আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা। বলেন, ‘পুতের (তারেক) পরামর্শ আর মায়ের (খালেদা জিয়া) সিদ্ধান্ত বাদ দিয়ে দলের সিদ্ধান্তে যান।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মাকসুদুর রহমান খান মাসুদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই