১০৪টি ডিমের স্থলে খাচ্ছি ৩৫টি
আজ ১০ অক্টোবর শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় দিবসটি পালিত হবে।
দিবসটিকে সামনে রেখে ডিম খাওয়া বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটি (বিপিআইসিসি) এবং এর সদস্যভূক্ত ৭টি অ্যাসোসিয়েশন। তারা স্কুলের টিফিনে ভাজা-পোড়ার পরিবর্তে সেদ্ধ ডিম দেয়ার পরামর্শ দেন।
বিপিআইসিসি’র আহ্বায়ক মসিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ ও দারিদ্র্য বিমোচনে ডিম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, ডিম হচ্ছে ‘সুপারফুড’।
ডিমে অত্যন্ত উন্নতমানের প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে যা শিশুর মাংসপেশি ও মস্তিষ্কের টিস্যু গঠন এবং মেধার বিকাশে দারুণ কার্যকর।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মতে বছরে জনপ্রতি যেখানে অন্তত ১০৪টি ডিম খাওয়ার কথা, সেখানে আমরা খাচ্ছি মাত্র ৩৫টি ডিম।
মসিউর রহমান বলেন, স্কুলের টিফিনে ভাজা-পোড়া জাতীয় খাবার দেয়ার পরিবর্তে সপ্তাহে ২-৩ দিন প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে একটা করে সেদ্ধ ডিম দেয়া উচিত। তাহলে সন্তান সুস্থ থাকবে, স্বাস্থ্যবান হবে।
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার বলেন, ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ ডিম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াবার সুযোগ এনে দিয়েছে।
‘দেশের অভূক্ত ও পুষ্টিহীনতার শিকার জনগোষ্ঠীর জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে পুষ্টিমানসম্পন্ন ডিম সহজলভ্য করাই এবারের বিশ্ব ডিম দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।’
মন্তব্য চালু নেই