চূড়ান্ত করা হয়েছে পুলিশ আইনের খসড়া
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশ আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের কোনো সদস্য বিদ্রোহে জড়ালে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে এই আইনে। পুলিশ সদর দপ্তরের তৈরি খসড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটি চূড়ান্ত করে স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে গত সপ্তাহে জমা দিয়েছে। শিগগির তা আন্তমন্ত্রণালয় সভায় উত্থাপন শেষে কেবিনেটে পাঠানো হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত করা খসড়ায় বলা হয়েছে- এত দিন কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষকে থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে হতো। এবার পুলিশকেই নিজ উদ্যোগে সাধারণের খোঁজখবর রাখতে হবে। চাকরিতে থাকাকালে কোনো পুলিশ সদস্য অপরাধের সঙ্গে জড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে অপরাধের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামতে পারবেন। এ ছাড়া কোনো পুলিশ সদস্য তাঁর দায়িত্ব পালন করে বাকি সময় দ্বিতীয় কোনো চাকরি করার সুযোগ পাবেন।
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী চলছে ১৮৬১ সালের পুলিশ অ্যাক্ট দিয়ে। ১৫৩ বছর পর তা বদলে ‘পুলিশ আইন’ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান পুলিশ অ্যাক্টের সঙ্গে অনেক নতুন বিষয় যুক্ত করে প্রস্তাবিত পুলিশ আইনের খসড়া করে পুলিশ সদর দপ্তর। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর আইনটিকে আরো জোরালো করার লক্ষ্যে গত বছরের আগস্ট মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হুমায়ুন কবীরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়। পরে আরো দুই সদস্য কো-অপ্ট করা হয়। সাত সদস্যের এই কমিটি বিদ্যমান আইন, পুলিশের তরফ থেকে পাঠানো আইনের খসড়া ও বিদেশি আইন অনুসরণ করে পুলিশ আইনের নতুন খসড়া তৈরি করেছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর কমিটি এক সভায় খসড়াটি চূড়ান্ত করে। এরপর তা স্বরাষ্ট্র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খানের কাছে জমা দেওয়া হয়।
সূত্র:কালের কণ্ঠ
মন্তব্য চালু নেই