৫০ বছরের লিজিয়ার সংগ্রাম পঙ্গু সতীন কে বাঁচাতে

আমার হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যথা তাই আমি রাতে ঘুমাতে পারি না। আমাকে দৈনন্দিন ১০০০ ইট (প্রতিটি ইটের ওজন ২.৫ কেজি) বহন করতে হয় এবং তারপর আমি ১০০ টাকা পাই। ঠিক এই মুহূর্তে আমি ঠান্ডা ও জ্বরে ভুগছি, কিন্তু আমার এবং মুনিয়া জন্য আমাকে কাজ করতে হবে।

আমার ছেলের এক বছর বয়সে আমার স্বামী তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুনিয়াকে সংসারে আনেন। আপনি কোনদিন বুঝতে পারবেন না, আপনার স্বামী অন্য মহিলার সাথে একই রুমে থাকছে এটা দেখতে এবং সহ্য করতে কেমন লাগে। আমি তাই মুনিয়াকে ঘৃনা করতাম।

দশ বছর আগে একটি বাস দুর্ঘটনায় আমার স্বামী মারা যান এবং মুনিয়া তার পা হারায়। এরপর থেকে আমি আমাদের উভয়ের জন্য উপার্জন করছি, মুনিয়ার যত্ন নিচ্ছি।

আত্মীয়রা আমাকে অনেকবার বলেছে, ওকে বাড়ি থেকে দূর করে দিতে, কিন্তু আমি পারবো না। কারণ, আমার মতো ওরও যাওয়ার কোন জায়গা নেই।

আমার একমাত্র ছেলে আমার সাথে কখনও দেখা করতে আসে না। একজন পরিত্যক্ত মানুষ হিসেবে থাকতে কেমন লাগে আমি তা জানি। – Lijiya (50)



মন্তব্য চালু নেই