অনুতপ্ত নন, প্রশ্ন শুনেই ক্ষেপলেন পরী
সময়ের আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমনি। যাকে ঘিরে বেশিরভাগ সময় আলোচনার চাইতে সমালোচনাই বেশি হয়ে থাকে। এ অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে তিনি প্রায় ৫০টির মত ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু এরমধ্যে তার যে পাঁচটি ছবি মুক্তি পেয়েছে সেগুলোর একটিও ব্যবসা সফল হয়নি। আর এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।
১৭ নভেম্বর দুপুর ১২টায় তার মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ছবি ‘মহুয়া সুন্দরী’র টিমকে নিয়ে এক ফটো শ্যুটের আয়োজন করেছিলেন ছবির পরিচালক রওশন আরা নীপা। সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। সাংবাদিকরা যথা সময়ে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু তখনও ‘মহুয়া সুন্দরী’ ছবির টিমের কেউই উপস্থিত হননি। আর নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা পরে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন স্থলে আসেন ছবিটির নায়ক সুমিত। এসেই তিনি তার স্বভাবসূলভ সুন্দর হাসি দিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেন।
এদিকে সবাই তখনও পরীমনি’র জন্য অপেক্ষা করছিল। সে এখনো না আসায় বিরক্ত হয়ে সব সাংবাদিকরা চলে যেতে চাইলে মোবাইলে ছবিটির পরিচালক রওশন আরা নীপা সবাইকে আরো কিছুক্ষণ থাকতে অনুরোধ করেন। এর কিছু সময় পরেই পরিচালক নীপা সংবাদ সম্মেলন স্থলে উপস্থিত হন। আর কাল ক্ষেপনের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ‘১৬ নভেম্বর রাতেই তিনি সম্মেলন সমন্বয়কারীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে অনুষ্ঠান পিছিয়ে দু’টায় করা হবে।
কিন্তু তখনও মহুয়া সুন্দরীর (পরীমনি’র) দেখা পাওয়া যায়নি। সবাই তখনও অপেক্ষায় মহুয়া সুন্দরীর। ছবি সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছেন তারা একের পর এক ফোন করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি কারও ফোনই রিসিভ করছিলেন না। আর এর কিছুক্ষণের মধ্যেই হঠাৎ করেই পরিচালক নীপার ফোনে পরীমনি ফোন করে জানান তার আসতে আর ২০ মিনিট সময় লাগবে। সময় তখন ঘড়ির কাঁটায় ঠিক তিনটা ছুঁইছুঁই। যদিও তিনি সে সময়েরও বেশ কিছুটা পরে উপস্থিত হন স্পটে। আর তৎক্ষনাৎ গাড়ি থেকে নেমে ফটো শুট্যে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি নির্ধারিত স্থানে যাচ্ছিলেন।
তখন একজন সাংবাদিক তাকে জিজ্ঞেস করেন, আমরা আপনার জন্য দুপুর ১২টা থেকে অপেক্ষা করছি, আর এখন সাড়ে তিনটা। আপনার এটা কি কোন সময় জ্ঞান হলো? আর একথা শুনেই ভীষণ ক্ষেপে যান পরী। আর আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতে সে সাংবাদিকের দিকে তেড়ে বলেন,‘আপনাকে কে সময় দিয়েছে? আমি তো দেইনি।’ তবে তার কথা ঠিক। আর তৎক্ষনাৎ পাশ থেকে ছবির পরিচালক নীপা বলে উঠেন ‘আমিই তাদের সময় দিয়েছি। কিন্তু পরীমনি সেই সাংবাদিককে ঝাড়ি মারতে থাকে। পরিচালক ও অন্যান্য মানুষের পাশ কাটিয়ে সে সেই সাংবাদিকের কাছে এমন ভাবে আসতে থাকে মনে হয় যেন মারামারি করবে। কেউ তাকে তখন দমাতে পারছেনা। এক পর্যায়ে সেই সাংবাদিক বলে এর আগেও আপনি এশিয়ান টিভি ও বাংলাভিশনে দেরি করে এসেছিলেন। এতে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরিচালক তাকে থামানোর চেষ্টা করলেও থামাতে পারে না। সে তাকেও ঝাড়ি মেরে বসে। এভাবে পরীমনি উগ্রভাবে দুর্ব্যবহার করতে থাকেন। চারপাশে তখন লোকজন জড়ো হয়ে যায়।
পরিচালকের সামনেই সাংবাদিকের সঙ্গে প্রচণ্ড উগ্রভাবে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন পরী। আর তার নিজের কিছু লোকজন তখন সে সাংবাদিককে ধাক্কা মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিক সেখান থেকে চলে যান।প্রিয়.কম
মন্তব্য চালু নেই