দূরে থাকুন গোপন অঙ্গের “ইস্ট ইনফেকশন” থেকে

প্রত্যেক নারী শরীরের যৌনাঙ্গে কিছু ইস্ট জীবাণু থাকে। সাধারণ ভাবে এরা তেমন বড় হুমকি না হলেও যখন এগুলোর বৃদ্ধি মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়, তখনই ইস্ট ইনফেকশনের কবলে পড়তে হয়। ইস্ট ইনফেকশন খুবই বিব্রতকর এবং ঝামেলার বটে। এ থেকে পরবর্তীতে হরেক রকম স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়, এমনকি সন্তান ধারনেও সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু অনেক নারীই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন এবং তা সারিয়ে তোলাটাও সহজ। কিছু অভ্যাস গড়ে তুললেই আর এই সমস্যায় পড়তে হয় না আমাদের। দেখে নিন ইস্ট ইনফেকশন প্রতিরোধে আপনি কী কী করতে পারেন।

১) শুকনো থাকুন

স্যাঁতস্যাঁতে অন্তর্বাস, ঘামে ভেজা অন্তর্বাস বেশিক্ষণ পরে থাকাটা মোটেই ভালো নয়। কারণ এই পরিবেশে ক্যান্ডিডা জীবাণু স্বাচ্ছন্দ্যে থাকে। সুইমিং পুল, নদী বা পুকুরে সাঁতার কাটতে গেলে আরও বেশি সাবধান থাকা প্রয়োজন। সাথে রাখবেন অতিরিক্ত এক সেট অন্তর্বাস কারণ এসব পরিস্থিতিতে এই জীবাণু বেশি ছড়ায়।

২) প্রোবায়োটিক

বাইরের দেখে প্রোবায়োটিকযুক্ত দই পাওয়া যায়। আমাদের দেশে সেটা পাওয়া না গেলেও খেতে পারেন প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট ট্যাবলেট। এছাড়াও আপনার খাদ্যভ্যাস থেকে চিনির পরিমাণ কমিতে দিলে ইস্ট ইনফেকশনের পরিমাণ কমে যায়।

৩) খাদ্যভ্যাস রাখুন পরিচ্ছন্ন

অনেকেই বিশ্বাস করেন candida cleanse diet ইস্ট ইনফেকশন দূরে রাখতে সক্ষম। এছাড়াও খাবার থেকে চিনি, রিফাইন্ড ময়দা, ইস্ট এবং পনির বাদ দিলে এই সমস্যা দূর হতে পারে। যাদের বারবার এই সমস্যা হয়ে থাকে তারা খাদ্যভ্যাসে এমন পরিবর্তন এনে দেখতে পারেন।
৪) স্ট্রেস কম রাখুন

স্ট্রেস এবং ঘুমের অভাব ইস্ট ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই জীবনে স্ট্রেস কম রাখুন। দিনে কমপক্ষে সাত ঘণ্টা ঘুমান।

ইস্ট ইনফেকশন হলে ভাববেন না তা এমনিই সেরে যাবে। লক্ষণগুলো দেখে যদি নিশ্চিত হতে পারেন এটা ইস্ট ইনফেকশন, তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান। ইস্ট ইনফেকশনের লক্ষণগুলো হলো:

– যৌনাঙ্গে চুলকানি
– জ্বালাপোড়া
– স্বচ্ছ থেকে সাদা তরল নিঃসরণ
– মুত্রত্যাগের সময়ে ব্যাথা
– যৌনকর্মের সময় ব্যাথা

ডাক্তারের কাছে না গিয়ে অনেকে বিভিন্ন অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহার করেন। এগুলো খুব সাবধানে, নির্দেশিকা মেনে ব্যবহার করতে হবে। আসলে সবচাইতে ভালো হয় ডাক্তারের কাছে গেলেই। নিজেকে সুস্থ এবং বিপদমুক্ত রাখুন।



মন্তব্য চালু নেই