অ্যাসিডে ঝলসে গেলো শিশুর মুখ

‘রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) ক্যাম্পাস মাঠে আমি ঘাস কাটছিলাম। ওই সময় এক ছেলে আমাকে ঘাস ভর্তি একটি জায়গা দেখিয়ে দেয়। সেখানে ঘাস কাটতে যাওয়ার সময় ছেলেটি পিছু নেয়। এরপর কিছু বোঝার আগেই একটি বোতল থাকা পানির মতো কিছু আমার কপালে ঢেলে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। আমার মুখ আগুনের মতো জ্বলতে লাগলো।’
রামেকের বার্ন ইউনিটে শুয়ে তার ওপরে এসিড নিক্ষেপের ঘটনার এভাবেই বর্ণনা দিলো ৭ বছরের শিশু রুবিন। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। শিশু রুবিনা পাশের কলাবাগান এলাকার জিয়াউর রহমানের মেয়ে।
জিয়াউর রহমান নগরীর উপকণ্ঠে পবা এলাকায় একটি মাছ চাষের পুকুর দেখাশোনা করেন। আর মা আজরন খাতুন একজন গৃহিনী।
রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্স ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আকবর জানান, রুবিনাকে কে বা কারা অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে সেই বিষয়ে কোনো ধারণাই দিতে পারছেন না রুবিনার বাবা-মা। শিশু রুবিনার মুখে অ্যাসিড পড়লে সে চিৎকার করতে থাকে। ওই সময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপতালে ভর্তি করে দেয়।
রুবিনার মা আজরন খাতুন জানান, তাদের কোনো শক্র নেই। এছাড়া তারা দরিদ্র মানুষ। বাড়িতে গরু ও ছাগল পালন করে ও স্বামীর ছোট্ট একটি কাজ দিয়েই কোনোভাবে তাদের সংসার চলে। এধরনের কাজ কে করেছে এবিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. রিজভী জানান, রুবিনার মুখে অ্যাসিড মারা হয়েছে। এতে তার কপাল, নাক ও নাকের আশেপাশের এলাকার দগ্ধ হয়েছে। তাকে সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
রুবিনার মা আজরন খাতুন আরো জানান, তার স্বামী এলে এ বিষয়ে আলোচনা করে থানায় মামলা দায়ের করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই