সেই শিশুটির ঠাঁই হলো ছোটমনি নিবাসে
কুকুরের মুখ থেকে উদ্ধার হওয়া সেই শিশুটির ঠাঁই হলো আজিমপুর ছোটমনি নিবাস শিশু পালন কেন্দ্রে।
রবিবার দুপুর সোয়া ১২টার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে শিশুটিকে তুলে দেন।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. নাজিমুননেছা জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি অফিস রয়েছে। এখানকার কর্মকর্তারা অসহায় দরিদ্র রোগীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করে থাকে। ক্ষুদে এই শিশুটিকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের হাতে তুলে দেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, আজিমপুরে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমনি নিবাস নামে একটি শিশু পালন কেন্দ্র রয়েছে। সেখানেই তাকে হস্তান্তর করা হয়।
নবজাতকটির সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে নবজাতক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, নবজাতক শিশুটি এখন মোটামোটি সুস্থ রয়েছে। বয়স কম হওয়ার কারণে কুকুরে কামড়ানো তার নাকে ও ঠোঁটে আপাতাত প্লাস্টিক সার্জারি করা সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকমাস পর প্লাস্টিক সার্জারি করা হবে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দরের ভেতরের জঙ্গল থেকে ওই নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়।
ফেলে রাখা ওই নবজাতকটিকে কুকুর কামড়াতে শুরু করলে ওর কান্নায় পাশে খেলতে থাকা কয়েকটি শিশু এগিয়ে গেলে কুকুরটি পালিয়ে যায়।
পরে শিশুদের চিৎকারে জাহানারা বেগম নামে স্থানীয় এক নারী নবজাতকটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে শিশুটির চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।
মন্তব্য চালু নেই