দেবহাটায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্য বিবাহ, রক্ষা পেল এক ছাত্রীর জীবন

দেবহাটায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্য বিবাহ। সাথে সাথে রক্ষা পেল দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীর ভবিষ্যৎ জীবন। এতে ঐ ছাত্রীর পিতা ও মামাকে বিনাশ্রম সাজা প্রদান করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন।

জানা গেছে, দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেনীর ছাত্রী রাজিয়া খাতুন (১৬) এর সাথে সাতক্ষীরা সদরের ভোমরা চন্ডিপুর গ্রামের জনৈক এক ছেলের সাথে তার পিতা ও অভিভাবকরা বিবাহ ঠিক করেন। শুক্রবার বাদ জুমআ বিবাহের দিনক্ষন ঠিক হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন্নাহারের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ আসলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, দেবহাটা থানার এএসআই তপন কুমার, পারুলিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিন্নুর সহ ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে যেয়ে ঘটনার সত্যতা পান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তহমিনা ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কন্যার পিতা উত্তর কোমরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আলিমের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪২) ও ঐ মেয়ের মামা একই গ্রামের মৃত আনসার আলীর ছেলে আব্দুল হাকিম (৪৫) কে প্রত্যেককে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ১৯২৯ এর খ ধারা অনুযায়ী ১৫ দিনের করে বিনাশ্রম সাজা প্রদান করেন।



মন্তব্য চালু নেই