‘একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজার নিবন্ধন’
একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজারের বেশি সিমের নিবন্ধন রয়েছে। আরেকটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে রয়েছে ১১ হাজার ৮৬৬টি সিম। এভাবে ভুয়া নিবন্ধনের কথা তুলে ধরলেন ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে মোবাইল অপারেটরদের সিইওদের সঙ্গে বৈঠকের পূর্বে সাংবাদিকদের এ তথ্য তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী। বৈঠকটি এখনো চলছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৪ হাজারের উপরে সিমের নিবন্ধন। এসব ভুয়া নিবন্ধনের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। না হলে জনগণ বিপদে পড়বে। এ বিষয়টি জনগণকে সচেতন করতে হবে। এমন সিম দিয়ে জঙ্গি তৎপরতা, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকা- চলতে থাকবে।
তারানা হালিম বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বর থেকে বায়োমেটিক্স পদ্ধতিতে সিমের নিবন্ধন শুরু করব। আজ থেকে যেসব সিম নিবন্ধন হবে, তা যেন সঠিকভাবে নিবন্ধন হয়। যাতে নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো প্রকার বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।’ সবাইকে একটি নিয়মের মধ্যে আনতে চান বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
ডাক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিম নিবন্ধনের ব্যাপারে আমরা জাতীয় পরিচয়পত্র কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা পাচ্ছি। তারা আমাদের নিবন্ধনের তথ্য দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত সব অপারেটরের প্রাপ্ত তথ্যমতে এখন পর্যন্ত মাত্র ৬ হাজার ১৭৯টি সিমের নিবন্ধন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এয়ারটেলের মোট গ্রাহকসংখ্যা ৯০ লাখ ৮০ হাজার। আমরা এ পর্যন্ত ডাটা পেয়েছি ১৪ লাখ ৪ হাজার ৯৩৮, যা ১৫.৪৭ শতাংশ। এভাবে বাংলালিংকের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ২৪ লাখ ৬ হাজার, ডাটা পেয়েছি ২৩ লাখ ৫৫ হাজার গ্রাহকের, যা মাত্র ৭.২৭ শতাংশ। সিটিসেলের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১১ লাখ ৬১ হাজার। ডাটা পেয়েছি ৪ লাখ ১৪ হাজার ৮২৯ জনের। যা ৩৫.৭৩ শতাংশ। গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা সর্বমোট ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৮০ হাজার। ডাটা পেয়েছি ২২ লাখ ৪.০৪৮ শতাংশ। রবির মোট গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ৭৯ লাখ ২১ হাজার, ডাটা পেয়েছি ১৮ লাখ ১১ হাজার। যা ৬.৪৯ শতাংশ। টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা মোট ৪২ লাখ ২১ হাজার। ডাটা পেয়েছি ১৬ লাখ ৫৯ হাজার ৬৯২ জনের। যা ৩৯.৩২ শতাংশ। আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সব অপারেটর মিলিয়ে ৭.৬৫ শতাংশ সিমের ডাটা পাওয়া গেছে।’
মন্তব্য চালু নেই