জার্মানির বাগানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে যে গাছটি!
জার্মানির কোলন শহরের অভিজাত এলাকা রোডেনকির্শেন৷ সেই এলাকারই এক কোণে তৈরি করা হয়েছে ২৬ হেক্টর জমি জুড়ে সুন্দর একটি বাগান৷ সেখানে বিশ্বের ১৪২টি দেশের গাছ লাগানো হয়েছে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে৷ আর এই বাগানে আছে বাংলাদেশের একটি গাছ৷
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানায়, ১৯৮০ সালে ‘ফ্রিডেন্সভাল্ড’ বা শান্তির বাগানটি তৈরি করা হয়। গাছ লাগানোর মধ্য দিয়ে জার্মানির সাথে এই ১৪২টি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক গাঢ় হবে – এমন ভাবনা থেকেই নেয়া হয়েছিল এই উদ্যোগ৷
যে কোনো ঋতুতেই এখানে প্রচুর লোকজন আসেন বেড়াতে, হাঁটতে বা জগিং করতে৷ গাছগুলো এমনভাবে সাড়ি বেঁধে লাগানো যেন ভেতর দিয়ে হেঁটে যাওয়া যায়৷ বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র,আফ্রিকা যে কোনো দেশের গাছেই সে দেশের পতাকা লাগানো আছে৷ কোনো কোনো দেশের আবার একটি নয়, অনেকগুলো গাছ রয়েছে শান্তির প্রতীক হিসেবে৷
যান্ত্রিকতা ভুলে একটু শান্তির পরশ পেতে অনেকেই সেই বাগানে ছুটে যান। মনোমুগ্ধকর সে বাগানের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে ডয়চে ভেলে।
দেখে নেয়া যাক সেই ছবিগুলো-
বাগানের শুরুতেই ১৪২টি দেশের গাছ লাগানো হয়েছে আর ভেতরে দিকে করা হয়েছে একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন৷পুরো বাগান হেঁটে ক্লান্ত হয়ে পড়লে সেখানে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ থাকে।
শান্তির বাগানের একটা বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে নানা রং-এর রডোডেনড্রন ফুলের গাছ৷
আরও ১৪১টি গাছের পাশাপাশি বাগানে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশের এ গাছটি
শান্তির বাগানে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে সবই পরিবর্তন হয়৷ তবে এই সাদা বালির অংশটুকুর কোনো পরিবর্তন হয় না, সব সময় সাদাই থাকে৷ এখানে বাচ্চারা খেলতে খুবই ভালোবাসে৷ বছরের যে কোনো সময়ই তাই দেখা যায় তাদের৷
গাছের যত্নের কোনো ত্রুটি নেই৷ অসুস্থ গাছকে সময় মতো কেটে ফেলা হয়৷ তবে একটা গাছ কাটা মানেই কিন্তু আর একটা গাছ লাগানো৷ বলা যায় একেবারে সঙ্গে সঙ্গেই!
সৌজন্যে: ডয়চে ভেলে
মন্তব্য চালু নেই