কিশোর হত্যা : ছাত্রলীগ নেতা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
রাজধানীর হাজারীবাগে চুরির অভিযোগে কিশোর রাজা হত্যার প্রধান আসামি আরজু মিয়া র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। তিনি হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে র্যাব-২-এর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
র্যাব-২-এর এএসপি ফেরদৌসী রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাতে আরজুকে আটক করতে হাজারীবাগে অভিযান চালানো হয়। র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে আরজু গুলি ছোড়েন। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি করেন। এতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। র্যাব সদস্যরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
সোমবার হাজারীবাগে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ তুলে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ওই কিশোরকে। রাজুর স্বজনদের অভিযোগ, হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আরজু তার বাসায় মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে রাজাকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় রাজার বোন রেশমা আক্তার শাবানা বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় আরজুকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
রোববার রাতে আরজুর বাসা থেকে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ চুরি হয়। সেই চুরির জন্য আরজু সোমবার সকালে রাজাকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে মারধর করেন বলে তার স্বজনদের অভিযোগ।
আরজুর বাসা গণকটুলী লেনের ৪৫/১-এর এ তে। বাবা মৃত লাল মিয়া। রাজার বাবার বাসাও হাজারীবাগের গণকটুলী লেনে। তবে রাজা কামরাঙ্গীরচরে বোন রেশমার বাসায়ই বেশির ভাগ সময় থাকত।
মন্তব্য চালু নেই