ভোলার মেঘনার ভাঙ্গন রক্ষার জন্য জিও ব্যাগে টোক বালুর পরিবর্তে মাটি
ভোলা ইলিশা নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আর ঐ জিও ব্যাগে টোক বালুর পরিবর্তে দেয়া হচ্ছ মাটির বালু। যে জিও ব্যাগ গুলো ফেলা হচ্ছে তা নদীর শ্রোতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফলে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার বদলে ঠিকাদার দের পকেট বাড়ী হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
অন্যদিকে টোক বালুতে মাটির উপস্থিতি পাওয়াতে চাদঁপুর থেকে আনা বালু বোজাই সাবিদ, বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল -১ ও শাহাজালার নামের ৩টি বলগেটে ফিরোত যেতে নির্দেশ দিয়েছে পাউবো টাস্ক ফোর্স তত্বাবোধয়ক পৌকশলী কাজী তোফায়েল। এদিকে এলাকাবাসী জানান, ভোলার কৃতি সন্তান বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এর নির্দেশে বর্তমানে ভয়াল ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য দ্রুত গতিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
কিন্তু সেই জিও পর্যাপ্ত টোক বালু পরিমান না দিয়ে ভিটি বালু দেয়া হচ্ছে। ফলে হুমকীর মুখেই থেকে যাচ্ছে ভোলা শহর। এসময় বজলুর রহমান নামের এলাকাবসী অভিযোগ করে বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জোগসাজচ্ছে এই ধরনের অনিয়ম করা হচ্ছে।
এভাবে কাজ করার চেয়ে না করাই অনেক ভালো। যদি এই ভাবে অনিয়ম এর মাধ্যমে কাজ করা হয় তাহলে লক্ষাধিক জিও ব্যাগ ফেললেও কোন কাজ হবেনা। নাম না প্রকাশ শর্তে আরো কয়েকজন বলেন, সরকার এখানে নদী ভাঙ্গন জন্য কাজ করছে, অথচ ঠিকাদার কাজ করছে নিজের পকেট বাড়ীর জন্য। অর্ধেক যদি মাটি ফেলা হয় আর অর্ধেক যদি বালু দেয়া হয় তাহলে কাজের গুণগত মান থাকবেনা। তাই সরকারে উচিত এখানে আরো নজর ধারি করা ।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের টাস্কফোর্স কমিটি সদস্য এসে বালু পরীক্ষা করে। যেসব বলগেটের টোক বালুতে পরিমান কম পাওায়া গেছে সেগুলো ফিরোত পাঠানো হয়েছে। আর যদি কোন জিও ব্যাগে বালুর পরিবর্তে মাটি দেয়া হয় সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে। এসময় তিনি ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিয়োগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। এখানে পাউবো এর টাস্কফোর্স এর সদস্য সব সময় জিও ব্যাগ ফেলার কাজ মনিটরিং করে থাকে ।
এব্যাপারে ঠিকাদার খোকন গোলদার বলেন,আমরা কাজের শুরু থেকে কাজের মান নিয়ন্ত্রণ রেখে কাজ করছি। প্রথম দিকে যদি পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ বরাদ্ধ না থাকায় নদীর গভীরতা বেশি থাকায় জিও যে গুলো ফেলা হয়েছে সেগুলো ধ্বস নেমেছে। এখানে কোন ধরনের দুর্নীতি হয়নি।
মন্তব্য চালু নেই