২টি আবাসিক হোটেলে ডিবি পুলিশের অভিযান

নেপালে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা ২০জন উদ্ধার : পাচারকারী চক্রের ১সদস্য আটক

জয়পুরহাটের দুটি আবাসিক হোটেলে পৃথক অভিযান চালিয়ে নেপালে পাচারের উদ্দেশ্যে আনা গাইবান্ধা ও নরসিংদি জেলার বিভিন্ন গ্রামের ২০জনকে উদ্ধার ও এ ঘটনায় লাভলু আকন্দ (৩৫)নামে পাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে ডিবি গোয়েন্দা পুলিশ (গোয়েন্দা পুলিশ)।

শনিবার দুপুরে জয়পুরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মানবপাচার কালে পরিচালিত এ উদ্ধার অভিযানের বিবরন দেন গোয়েন্দা পুলিশের জয়পুরহাটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান।ওই ডিবি কর্মকর্তা জানান, নরসিংদী জেলার ৫জন এবং গাইবান্ধা জেলার ৪জনকে শুক্রবার রাতে নেপালে পাচারের উদ্দেশ্যে পাচারকারী চক্র জয়পুরহাট নিয়ে এসে শহরের সৌরভ আবাসিক হোটেলে রাখে। গোয়েন্দা পুলিশ এই পাচারের তথ্য পেয়ে রাতেই হোটেলে অভিযান চালিয়ে পাচারকারীদের খপ্পর থেকে ৮জনকে উদ্ধার ও পাচারকারী জয়পুরহাট সদরের জামালপুর ইউনিয়নের উপরচক গ্রামের মৃত সিরাজ আকন্দের ছেলে লাভলু আকন্দ (৩৫)কে আটক করা হয়েছে।

Joypurhat 1.8.15 Arrest Picউদ্ধারকৃতরা জানায়, দিনাজপুরের হিলি ও লালমনিরহাটের বুড়িমারি সীমান্ত দিয়ে নেপালে পাচারের জন্য আনা হয়েছিল।এরা হলো- উদ্ধারকৃতরা হলো গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম তালুকবেলকা গ্রামের মোছাদ্দেক হোসেন (২৮), একই উপজেলার রামডাকুয়া গ্রামের জাকারিয়া (২৮), ফারুক হোসেন (২৭) ও জাহিদুল ইসলাম (২৮) এবং নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার নবিয়াবাদ গ্রামের আল আমিন (২৩) মানিক মিয়া (২০) হানিফ (৩৪) এবং একই উপজেলার ধনিয়া গ্রামের জাকির হোসেন (২২) ও চাঁন্দিয়াকাঁন্দি গ্রামের রমজান মিয়া (১৯), সৌরভ,(২১) আল অমিন(২৩), পলাশ(২২), নাজমুল(২৪), মেরাজ(২২), খোকন(২৫), নুরল(২২), কবির(২৩) ,জাকির(২৫), কাজল(২২), মানিক (২৪)।

উদ্ধার হওয়া মানিক, রমজান ও আল আমিন জানান, নেপালে থাকা তাদের এলাকার রমজান নামের এক দালাল নেপালে যেতে তাদের প্রলুব্ধ করে। সে জানায় জনপ্রতি ৭৫ হাজার টাকা খরচের কথাও। নেপালে রাজমিস্ত্রীর কাজ করলে মোটা অংকের বেতন পাওয়ার লোভ দেখায় তাদের। এ জন্য রমজানের কথামত তার ভাগিনা ঢাকার লেবু ব্যবসায়ী জসিমের সাথে যোগাযোগ করলে জসিম তাদের ঢাকার এস.আই পরিবহন কাউন্টারের কর্মী সুমনের হাতে তুলে দেয়। সুমন তাদের তিনজনের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা অগ্রীম নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদিয়া আবাসিক হোটেলে দুইদিন রেখে জয়পুরহাটে পাঠিয়ে দেয়। নেপালে পৌঁছার পর তাদের প্রত্যেককে আরো ৫৫ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানায়। জয়পুরহাটে পৌঁছার পর লাবলু তাদের সাথে যোগাযোগ রাখে। এ সময় হিলির মিজান নামের এক দালালও মোবাইল ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ করে।

এ ব্যাপারে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম জানান,নেপালে মানব পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে ডিবি পুলিশ শুক্রবার রাতে শহরের সৌরভ আবাসিক হোটেলে এবং শনিবার সকালে পৃথিবী আবাসিক হোটেল পৃথক অভিযান চালিয়ে ২০যুবককে উদ্ধার করে এবং আটক যুবকদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক এক পাচারকারি চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করা হয় এবং এ ব্যাপাওে শনিবার বিকালে জয়পুরহাট সদর থানায় মানব পাচার আইনে মামলা করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের ১৬৪ধারায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঠানো হবে ।’



মন্তব্য চালু নেই