পাঁচবিবির লকমা জমিদার বাড়িটি এখন বিলুপ্তির পথে

তোহা আলম প্রিন্স ॥ পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবির লকমা জমিদার বাড়িটি এখন বিলুপ্তির পথে। উত্তর জনপদের সীমান্তবর্তী পাঁচবিবিতে রয়েছে কিছু ঐতিহাসিক নিদর্শন। এসব নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম হলো আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নে লকমার জমিদার বাড়ি। প্রাচীন স্থাপত্যের সৌন্দর্য মন্ডিত এ নিদর্শনটি যথাযথ রক্ষনাবেক্ষন করা গেলে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে দৃষ্টি আকর্ষন করা সম্ভব হবে। অপর দিকে সরকারের রাজস্ব আয় হবে অনেক বেশি। প্রাচীন স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন লকমার জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন হাজী মাহমুদ চেীধুরী ইংরেজ শাসন আমলের কিছু আগে ও রাজার শাসন আমলের অবসান ঘটে ভারত পাকিস্থান ভাগের কিছু আগে। এলাকাঘুড়ে এটি জানাযায় রাজার বংশধর মোঃ মিজানুর রহমান চেীধুরী ও পাশের লোকজনের কাছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পিলারের মাত্র ৩ গজ দুরে এই জমিদার বাড়িটি অবস্থিত। প্রায় ৩ একর জমির উপর পৃথক দুই ভাগে নির্মিত এ জমিদার বাড়ি। লোহার রড ছাড়া শুধু ইট, চুন সুরকী দিয়ে নির্মিত ৩ তলা এ জমিদার বাড়ির এক তলা ইতি মধ্যেই পুরো অংশ ডেবে গেছে মাটির নীচে। জমিদার বাড়িটিতে রয়েছে ৩০ টি কক্ষ। যার ভিতরে রয়েছে আরো ছোট ছোট কুঠরী বা কামরা। হাতিশালা, ঘোড়াশালা, কাচারীবাড়ি সবই ছিল এখানে। রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে আজ শুধু কালের সাক্ষী হয়ে ধ্বংশপ্রায় অবস্থায় নীরব স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এ জমিদার বাড়িটি। কিছুদিন আগেও এটি একটি জঙ্গলে পরিনত ছিল। তবে বর্তমানে এলাকার কিছু উদ্যোগী যুবক ও রাজার বংশধরেরা এটি পরিস্কার করে আকর্ষনীয় করে তুলেছেন। প্রত্যেন্ত গ্রামে অবস্থিত সীমান্ত ঘেঁষা, প্রাচীন এ জমিদার বাড়িটি দেশী বিদেশী দর্শনার্থীদের কাছে আরো জনপ্রিয় করে তুলতে সরকারী-বেসরকারী সহয়তার মাধমে এটি সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। পাঁচবিবি শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দুরে এই জমিদার বাড়ির যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব একটা ভালো না, শুধু টেম্পু ও রিক্সা-ভ্যানে করে সহজেই যাওয়া যায় সেখানে, কোন বড় যানবাহন নিয়ে যাওয়া খুব কষ্টকর ব্যাপার।

এলাকাবাসী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা আসেন প্রাচীন এই নিদর্শনটি এক নজর দেখার জন্য। প্রাচীন এই জমিদার বাড়িটি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরউদ্দিন আল ফারুক জানান- এই জমিদার বাড়িটি আমি নিজেও পরির্দশন করেছি, আমার কাছেও খুব ভাল লেগেছে। ব্যক্তি মালিকানার কারনে সরকারি ভাবে সরাসরি কোন উদ্দোগ নেওয়া যাচ্ছে না।



মন্তব্য চালু নেই