মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ নবজাতকের চিকিৎসায় বোর্ড গঠন
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন অন্তঃসত্ত্বা মা নাজমা আক্তার (৩৫)। গুলিটি মা নাজমা আক্তারের শরীরেই শুধু বিদ্ধ হয়নি, এটি গর্ভে থাকা অপরিণত কন্যা শিশুর পিঠ দিয়ে ঢুকে বুক দিয়ে বের হয়ে যায়। গুলিটি বের হয়ে যাওয়ার সময় শিশুটির হাত, গলা ও ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নবজাতকের সার্বিক অবস্থা বর্ণনা করেন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ হাসিনা শিউলী। শিশুটি তার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন।
ডা. কানিজ হাসিনা শিউলী বলেন, শিশুটির চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আট সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। শিশু সার্জারির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আশরাফ-উল-হককে প্রধান করে এ বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
কন্যা শিশুটির অবস্থা এখনো স্থিতিশীল উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি গুলি তার পিঠ দিয়ে প্রবেশ করে বুক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। তবে তার ভেতরের সব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ রক্ষা পেয়েছে। তার হাত, গলা ও চোখে আঘাত আছে। চোখের আঘাত গুরুতর। প্রয়োজনীয় সব বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। শিশুটির ওজন দুই কেজি।
প্রসঙ্গত, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২৪ জুলাই সকালে মাগুরা সদর উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হন অন্তঃসত্ত্বা নাজমা আক্তার (৩৫)।
গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রাতে তিনি একটি কন্যা শিশুর জন্ম দেন। ২৫ জুলাই শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। প্রসূতি মা মাগুরা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
সংঘর্ষে আহত মমিন ভূঁইয়া (৬৫) শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই ঘটনায় ছাত্রলীগের কয়েক কর্মী আহত হন। নিহত মমিনের ছেলে রুবেল ভূঁইয়া রবিবার সদর থানায় ছাত্রলীগের জেলা শাখার সহ-সভাপতি সেন সুমনকে (৩২) প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মন্তব্য চালু নেই