৮ তারিখের বাসের টিকিট শেষ
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে আজ মঙ্গলবার থেকে। সকালে বিক্রি শুরু হলেও দুপুর গড়াতেই শেষ হয়ে গেছে ৮ তারিখের অগ্রিম টিকিট। কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে, ৮ সেপ্টেম্বর চাকরিজীবীদের চাপ বেশি।
সকাল ৬টা থেকে রাজধানীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল গাবতলীতে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তবে ঘরমুখো টিকিট প্রত্যাশী মানুষের ভিড় কমই দেখা গেছে কাউন্টারগুলোতে। বাস কাউন্টারের কর্মীরা জানান, বেশিরভাগ মানুষ ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বরের টিকিট চাইছেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সরেজমিনে ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতি বছরই ঈদে বাড়ি ফেরার টিকিট নিয়ে হাহাকার এমনকি এক রকম যুদ্ধাবস্থা থাকে। তবে এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে সে রকম চিত্র এখনো দেখা যায়নি। যদিও অধিকাংশ যাত্রীর অভিযোগ, কাঙ্ক্ষিত রুটে কাঙ্ক্ষিত মানের টিকিট মিলছে না।
নোবেল নামে পঞ্চগড়ের যাত্রী জানান, ৩ ঘণ্টা হানিফ এন্টারপ্রাইজ কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থেকে শুনতে পাই ৮ তারিখের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে টিকিট না পাওয়াটা দুঃখজনক।
তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনে লোকাল বাসে যাবো। তবুও আমার ৮ তারিখের টিকিটিই চাই। বুকিং সিস্টেমের কারণে অর্ধেক টিকিট বিক্রি না করার অভিযোগও করেন তিনি।
হানিফ এন্টারপ্রাইজের জেনারেল ম্যানেজার মোশাররফ হোসেন বলেন, টিকিট ক্রয়ে বেশি চাপ ৮ ও ৯ তারিখের। চাকরিজীবীরা ৮ তারিখ রাতের টিকিট চাচ্ছেন বেশি। ৮ তারিখের দিনের টিকিট পাওয়া গেলেও রাতের টিকিট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তবে হানিফ কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা বাবু মিয়া জানান, গাইবান্ধার সব দিনেরই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। ১২ সেপ্টেম্বর ঈদ ধরে সবাই টিকিট কিনছেন। ঈদের আগের দিনের টিকিটের চাহিদা কম।
এসআর ট্রাভেলসের ম্যানেজার মো. আমিন নবী জানান, টিকিটের দাম বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত। বগুড়া ৩৮০ টাকা, নওগাঁও রুটে ৪৭০, গাইবান্ধা ৫২০, রংপুর ৫৯০, নীলফামারি ৬৮০ টাকা। এর বেশি নেয়া হচ্ছে না। তবে যারা বগুড়ার টিকিট পাচ্ছেন না কিংবা ভালো মানের টিকিট চাচ্ছেন তাদেরক একই রুটের অন্য জেলার টিকিট দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এবার কাউন্টারে চাপ কম। অনলাইনেই বেশি টিকিট বিক্রি হচ্ছে। সীমিত সংখ্যক বাসের কারণে এবারও ঈদ সেবায় বেশি টিকিট বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।
গাইবান্ধা রুটের বাস আল হামরার ম্যানেজার দেলওয়ার হোসেন জানান, এবার ১৭টি বাস চলবে ঈদ উপলক্ষে। অধিকাংশ টিকিটই তাদের বিক্রি হয়েছে। ৮ ও ৯ তারিখের টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ বেশি বলে।
একই অবস্থা ডিপজল, শ্যামলী, নাবিল, টিআর ট্রাভেলস, দেশ ট্রাভেলস, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, শাহজাদপুর ও পাবনা এক্সপ্রেসেও।
মন্তব্য চালু নেই