৮ জুলাইয়ের মধ্যে ফখরুলের মেডিকেল রিপোর্ট চায় আদালত
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে চিকিৎসাধীন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলের মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। তিন সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করে এ প্রতিবেদনটি জমা দিতে বলেছেন আদালত। মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে জমা দেয়ার পর আদালত তা দেখে ওই দিন মির্জা ফখরুলের জামিনের বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।
বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ফখরুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন।
হরতাল–অবরোধের সময় পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগ এনে পুলিশের দায়ের করা তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে এ আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন।
আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আাহমদ, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।
এ বছরের জানুয়ারিতে হরতাল অবরোধের সময় পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগ এনে পৃথক তিনটি মামলায় গত ২১ জুন হাইকোর্ট মির্জা ফখরুলের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়। সে আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার আদালতে গেলে গত সোমবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।
এ ছাড়াও ফখরুলের বিরুদ্ধে নাশকতার আরও তিন মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন গত ২৮ জুন বহাল রাখে আপিল বিভাগ।
ছয় মাস ধরে কারাবন্দি ফখরুল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন। নাশকতার সাত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। নিন্ম আদালতে এসব মামলায় জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে যান ফখরুলের আইনজীবীরা।
পল্টন থানায় গাড়ি পোড়ানো, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের এক মামলায় গত ১৬ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে ছয় মাসের অন্তর্তীকালীন জামিন পান মির্জা ফখরুল।
ফখরুল অসুস্থ হয়ে পড়লে আদালতের নির্দেশে গত ১৩ জুন তাকে কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালেই আছেন।
মন্তব্য চালু নেই