৭ দিনের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তথ্য চেয়ে নির্দেশনা
ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমুহের তথ্য সাত দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে আটটি সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ বলেন, “রাজউকসহ আটটি সংস্থাকে রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে সেগুলোকে লাল রঙ করে দেয়ার পূর্ব নির্দেশনার অগ্রহতি সম্পর্কে তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। গত বছর ওই আটটি সংস্থাকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেয়া হলেও এ পর্যন্ত তারা কোনো অগ্রগতি জানিয়ে মন্ত্রণালয়কে কোনো চিঠি দেয়নি। সম্প্রতি বাংলাদেশে মাঝারি আকারে একটি ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার পর সরকারে টনকনড়ে।
আজ সোমবার মন্ত্রণালয় ঐ সংস্থাগুলোকে ফের চিঠি পাঠালো। সচিব জানান, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অগ্রগতির প্রতিবেদন আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শ্যামলী নবী স্বাক্ষরিত ওই চিঠি রাজউক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (খুউক), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাউক), জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ (জাগৃক), আইন কোষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, হাউস বিল্ডিং রিসার্স ইনস্টিটিউটের (এইচবিআরআই) কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ৫ মে ভূমিকম্প প্রস্তুতি ও সচেতনতা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত বছরের ভূমিকম্পে ঢাকার হেলে পরা ৮টি ভবনের তথ্য এখনো জানায়নি রাজউক।
এছাড়া ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবন’ লেখা সাইনবোর্ড টানানো ও রঙ করে ভবনগুলো ‘বসবাসের অনুপযোগী’ হিসেবে ঘোষণার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তাও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়নি। এসব বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা সাত দিনের মধ্যে জানাতে বলেছে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
এতে আরো বলা হয়, ওই সভা মোতাবেক বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ, বিল্ডিং কোড বাস্তবায়নের জন্য বিল্ডিং রেগুলেটরি কমিশন গঠনের উদ্যোগের বিষয়েও সাত দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।
গত বছর ভূমিকম্পের পর ঝুঁকিপূর্ণ ভবন লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় একই বছরের ৫ মে। এর নয় মাস পর ওই সিদ্ধান্ত মনে করিয়ে দিতে এবং পাশাপাশি প্রতিপালনের বিষয়ে জানতে এ চিঠি দেয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
চলতি মাসে ভূমিকম্পের পর ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-সচিব শাহ কামাল জানিয়েছিলেন, ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা ৭২ হাজার। এই ভবনগুলোতে মোট কত মানুষ থাকে সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকলেও সেটা নিশ্চিতভাবেই ১০ লাখের বেশি- বলছেন সরকারি কর্মকর্তারা।
মাঝারি বা বড় মাত্রার একটি ভূমিকম্প এই ভবনগুলোকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারে- বারবার সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২৫ এপ্রিল নেপালে প্রলয়ংকরী ভূমিকম্পে জীবন ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর সরকার রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে বিশেষ ওই উদ্যোগ নেয়।
মন্তব্য চালু নেই