৬০০ কোটির মায়া ছেড়ে এখন সন্ন্যাসী
৬০০ কোটির মায়া ছেড়ে তিনি এখন সাধু। ভারতের দিল্লির বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ী বনওয়ারলাল রঘুনাথ দোশি ৬০০ কোটি টাকার সম্পত্তি পেছনে ফেলে রোববার জৈন ধর্মে দীক্ষা নিয়ে সন্ন্যাসী জীবন শুরু করলেন।
সন্ন্যাস জীবন গ্রহণের ধূমধামে তার বিস্তর প্রতিপত্তির আভাস স্পষ্ট দেখা গেছে। আমেদাবাদ এডুকেশন গ্রাউন্ডে জৈন ধর্মে ঐতিহ্যবাহী ‘সংযম জাহাজ’-এর আদলে সাজানো হয়েছিল তার দীক্ষার স্থান।
খরচ পড়েছে ১০০ কোটি টাকা। এই রাজকীয় দীক্ষার সাক্ষী থেকেছেন দেড় লাখ দর্শক। ছিলেন প্রায় হাজার খানের সাধু। আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানিসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট্য ব্যক্তিও দীক্ষা গ্রহণের সময় উপস্থিত থেকে সম্মান জানিয়েছেন জৈন আচার্য্য শ্রীগনরত্ন সুরিশওয়ার্জি মহারাজের অধীনে দীক্ষা নেয়া নতুন সাধুকে। দীক্ষা নেয়ার পর বিলিয়নেয়ার বনওয়ারলাল, ভাব্যরত্ন বিজয় মহারাজসাহেব হিসেবে পরিচিত হবেন।
১৯৮২ সালে জৈন ধর্মের এক বক্তৃতা শোনার পর অনুপ্রাণিত হয়ে পড়েন বনওয়রলাল। তখন থেকেই তার সন্ন্যাসী জীবন গ্রহণের ইচ্ছে। কিন্তু পরিবারের সায় ছিল না। অনেক কাকুতি মিনতির পর, গত বছর পরিবার তার এ সিদ্ধান্তে সায় দেয়।
দীক্ষা নেয়ার আগে প্রথা অনুযায়ী শনিবার বিশাল পদযাত্রা করে দীক্ষাগ্রহণের স্থানে যান রঘুনাথ দোশি। ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের সুরকে সঙ্গী করে, পদযাত্রা সাত কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। পদযাত্রায় সামিল হন ১,০০০ জৈন সাধু। ছিল নটি হাতি ও নটি উটচালিত গাড়ি।
কোটিপতি প্লাস্টিক ব্যবসায়ী জৈন গুরু গুণরত্ন সুরীশবারজী মহারাজের কাছে দীক্ষা নিলেন। দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক ভানওয়ারলালের ১৯৮২ থেকেই সন্ন্যাসী হওয়ার আগ্রহ ছিল। কিন্তু পরিবারের আপত্তিতে সেই স্বপ্ন এতদিন অধরাই ছিল তার। এবার পরিবারের সম্মতি মেলায় সন্ন্যাসীর জীবন বেছে নিলেন তিনি।
মন্তব্য চালু নেই