৫ শতাংশ হকার মলম ও অজ্ঞানপার্টির সঙ্গে জড়িত

রাজধানীর পরিবহনগুলোতে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করা হকারদের মধ্যে ৫ শতাংশ মলম ও অজ্ঞানপার্টির সঙ্গে জড়িত। তাদের অনেকে যাত্রীবেশে বাসে উঠে অজ্ঞান করে সাধারণ মানুষের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। মলম ও অজ্ঞানপার্টির দৌরাত্ম্য বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আব্দুল বাতেন জানান, রাজধানীর মিরপুর ও রমনা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অজ্ঞান ও মলম পার্টির ১২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগ। তাদের কাছ থেকে মলম ও চেতনানাশক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

মিরপুর থানার কল্যাণপুর আলী মার্কেট এলাকা হতে তাদের আটক করা হয়। তারা হলেন, আমির হোসেন (৩৫), সালাম হাওলাদার (৫৫), আরিফ হোসেন (২৭), মো. আলামিন, মো. সাগর (১৮), মহসিন হোসেন তুষার (২৩) ও পারভেজ(২৩)। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে বিষাক্ত মলম উদ্ধার করা হয়।

অার রমনা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আকতার হোসেন ওরফে সবুজ (২৪), সোহেল সিকদার (২০), মিজানুর রহমান তালুকদার (২১) রেহেনা বেগম (২০) ও খাদিজা আকতার মিম (২০)।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়- তারা বাসে যাত্রীবেশে ভ্রমণরত যাত্রীদের অজ্ঞান করে ছিনতাই করে আসছিল। চেতনানাশক ঘুমের ওষুধ পানির সঙ্গে মিশিয়ে ছোট কৌটার ভেতরে সংরক্ষণ করতেন তারা। পরে নিজেদের কাছে তা রেখে কৌশলে চা, কফি, ডাব ও অন্যান্য কোমল পানীয়ের সঙ্গে মিশিয়ে যাত্রীদের খাইয়ে অজ্ঞান করে সর্বস্ব লুটে নেয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে রাজধানীর মিরপুর ও রমনা থানায় পৃথক দুটি মামলা রুজু হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল বাতেন বলেন, ঢাকা অনেক বড় শহর। এই শহরে হকারদের উচ্ছেদ কিংবা নির্মূল সম্ভব নয়। আবার সব হকারও মলম কিংবা অজ্ঞানপার্টির সঙ্গে জড়িত নয়। মাত্র ৫ শতাংশ জড়িত। তাদের দমনে অভিযান চালানো হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই