৫ মিনিটের এই অভ্যাস বদলে দেবে জীবন

সবসময় উদ্দেশ্যের সাথে তাল মিলিয়ে চলা কঠিন। চারপাশে এমন অনেক উপাদান আছে যা লক্ষ্য থেকে আপনার মনোযোগ সরিয়ে দেবে। মনোযোগের এই বিচ্ছিন্নতা কমিয়ে এনে একমাত্র দুরকারি বিষয়ে ফোকাস করতে পারা খুবই জরুরী।

যখন সময়কে আরও কর্মমূখী করা এবং কাজের প্রতি ফোকাস করা নিয়ে আপনি চিন্তিত তখন মাত্র ৫ মিনিটের একটি অভ্যাস গড়ে তুলুন আর সমাধান করে ফেলুন সব সমস্যার। এটা খুবই সহজ। সময়কে নিজেই দিকনির্দেশনা দিন, বলুন কোথায় যেতে হবে।

এই অভ্যাসটি আর কিছুই নয়। ৫ মিনিট নিজেকে সময় দিন। কাজের তালিকা করুন। অপ্রয়োজনীয় কাজগুলোকে পিছিনে ফেলে কোন কাজগুলো আগে করবেন সেটা ঠিক করে ফেলুন। এভাবে আপনি নিশ্চিত করতে পারবেন আপনার সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার।

এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল যা আপনাকে সাহায্য করবে নিজের কাজের শিডিউল তৈরিতে-

নিজের ভাল লাগে এমন কাজকে প্রাধান্য দিন
সারাদিনে শত শত কাজ থাকতে পারে আপনার। কিন্তু নিজের পছন্দের কাজকে প্রাধান্য দিন। প্রতিদিন অন্তত একটি কাজ যেন আপনার পছন্দের হয়। আপনি হয়ত ভাবছেন, এটা কিভাবে আপনার কাজের গতি বাড়াবে! পছন্দের কাজ বলতে আমরা বুঝি সখের বসে করা কিছু। আর সেটাকেও অকাজের তালিকায় ফেলি। প্রকৃতপক্ষে একটি পছন্দের কাজ করা আপনার আত্মতুষ্টি বাড়াবে, কাজ করার আনন্দ বাড়িয়ে দেবে।

সবচেয়ে দরকারি কাজগুলো আগে রাখুন
নিজের কাজের শিডিউল ঠিক করার সময় সামনে রাখুন দরকারি কাজগুলোকে। প্রয়োজনে নম্বর দিয়ে প্রাধাণ্য চিহ্নিত করুন। অপ্রয়োজনীয় কাজগুলো বাদ দিন। অথবা পাঠিয়ে দিন দিন শেষে করার জন্য। সব কাজ লেখা শেষ হয়ে গেলে আবার পড়ে দেখুন কিছু বাদ দেওয়া যায় কিনা। যে কাজ আপনার ক্যারিয়ারকে গড়ে তোলে না, মনকে প্রফুল্ল করে না, শুধু অনুরোধ রাখতে করছেন সেসব কাজ করা বন্ধ করুন।

একইরকম কাজ একসাথে করুন
এমন অনেক সময় হয় যে আপনি বাজারে গেছেন বাসার জন্য দরকারি জিনিস কিনতে। আপনার নিজের কিছু জিনিস কিনতে হত যা আপনি ভুলে গেলেন, সেজন্য আবার যেতে হল পরে। এই সময়টা কেন নষ্ট করবেন? যখন যা প্রয়োজন মনে করছেন লিখে রাখুন। একই ধরনের কাজগুলো একসাথে করুন।

নিজেকে সময় বেঁধে দিন
কাজের জন্য সময় বেঁধে দিন নিজেকে। অপরিসীম সময় নিয়ে কোন কাজ শেষ হয় না অথবা দীর্ঘ সময় লাগে শেষ হতে। আপনি যে কাএ হাত দিয়েছেন আপই নিশ্চয়ই জানেন সে কাজটি করতে আপনার কত সময় লাগবে। নিজেকে সেই সময় ধরে একটা ডেডলাইন দিন। প্রতিদিন কতটুকু কাজ করলেন তার রিভিউ করুন। নিজেকে নিজেই উৎসাহ দিন। জবাব্দিহি তৈরি করুন নিজের কাছেই।

তাহলে আজকে থেকেই শুরু করুন। প্রতিদিন সকালে ৫ মিনিট বসুন। দিনের কাজগুলো ভাগ করে নিন। গুরুত্ব অনুসারে কাজ করে যান। কোন কাজ পড়ে তো থাকবেই না বরং আরও সময় থেকে যাবে যখন নিতে পারবেন বিশ্রাম, সময় দিতে পারবেন নিজেকে।



মন্তব্য চালু নেই