৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধ
শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে না পারায় দেশের পাঁচটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন শিক্ষমন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সোমবার দশম জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এমএ হান্নানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ৮৩টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে না পারা ও এবং সাময়িক অনুমতিপত্রের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়া পাঁচটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৬ সালে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।’
তবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু করেছে বলে জানান তিনি।
অবৈধ ঘোষিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো: কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি, কুইন্স ইউনিভার্সিটি, পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি।
এর মধ্যে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি উচ্চ আদালতে মামলা করে নিজেদের পক্ষে রায় পাওয়ার পর সরকার কর্তৃক এসআরও প্রত্যাহার করায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সনদ জালিয়াতি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে কেউ এ ধরনের প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য নিতে পারে।’
শৌচাগার সমস্যার কারণে স্কুলগামী ৪০ শতাংশ কিশোরী প্রতিমাসে গড়ে তিনদিন ক্লাসে যায় না। এবিষয়ে এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর দিনের দুই-তৃতীয়াংশ সময় কাটে স্কুলে। এজন্য বিদ্যালয়ে মানসম্মত শৌচাগার থাকা জরুরি। সেকায়েপ প্রকল্পের আওতাধীন দেশের ২১৫ উপজেলার যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসম্মত শৌচাগার নেই সে সবে মানসম্মত শৌচাগার নির্মাণের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।’
২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭০০টি মানসম্মত টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে দেশে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলের সংখ্যা জানতে চেয়ে সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামালের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৩৩টি।
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের যেসব উপজেলায় সরকারি কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই সেগুলোতে একটি করে সরকারি কলেজ ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। এ লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
মন্তব্য চালু নেই