মুন্সীগঞ্জের জনসভায় খালেদা জিয়া
৫ জানুয়ারির নির্বাচনী লাইনে কুকুর ছিল
গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের কোনো লাইন ছিল না, লাইনে ছিল শুধু কুকর। বর্তমান সরকারকে অবৈধ সরকার আখ্যা দিয়ে এ কথা বলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
মুন্সীগঞ্জের লঞ্চঘাটের জেলা বিএনপির জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘এই সংসদ চলে জনগণের টাকায়। সেই সংসদে আজ কী চলছে? গালাগালি আর মুখবাজি। বাংলাদেশে আজ কী চলছে? টেন্ডারবাজি, জমিদখল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এসব চলছে ফ্রিস্টাইলে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা কারো ধার ধারে না। কারণ তারা নির্বাচিত নয়।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি জিনিস কোনো আইন নীতি না মেনে বিক্রি করা হচ্ছে। দুর্নীতিবাজ অবৈধ সরকার এখন ক্ষমতায়। এরা ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক মানুষ গুম হচ্ছে। সিলেটের ইলিয়াম আলীকে কীভাবে গুম করা হয়েছে তা আপনারা জানেন। তিনি এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি উচ্চ গলায় কথা বলতেন। এ কারণেই তাকে গুম করা হলো। পরে যারা এই গুমের প্রতিবাদ করেছে তাদেরও গুম করে ফেলেছে।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নীতিই হলো জোর করে দখল করা আর অন্যায়ভবে ক্ষমতায় টিকে থাকা। স্বাধীনতার পরেও যখন তারা ক্ষমতায় ছিল তখনও এ ধরনের কাজ করেছে।’
গুম, খুন, অপহরণের প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির জনসভায় যোগ দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
বেলা পৌনে ৩টায় গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা করে সড়কযোগে মুন্সীগঞ্জের লঞ্চঘাটের জনসভায় পৌঁছান। বিকেল সাড়ে ৪টায় খালেদা জিয়া সভা মঞ্চে পৌঁছালে নেতাকর্মীরা তাদের প্রিয় নেত্রীকে বরণ করে নেয়।
মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই এর সভাপতিত্বে আড়াইটায় এ জনসভায় শুরু হয়।
জনসভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সিনহা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য চালু নেই