৫ আবাসিক এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু ২৫ জানুয়ারি
আবাসিক বাড়ির অনুমোদন নিয়ে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করায় রাজধানীর অতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ধানমণ্ডি, গুলশান, বনানী, উত্তরা ও বারিধারা আবাসিক এলাকার সব অবৈধ স্থাপনায় অভিযান চালাবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক। অভিযানের জন্য এরই মধ্যে এই পাঁচ এলাকায় সমীক্ষা শেষ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাজউকের কয়েকটি দল এসব এলাকা পরিদর্শন করেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে অভিযান শুরু হবে।
রাজউকের তালিকার মধ্যে রয়েছে গেস্ট হাউস, বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টার, বার, ফিটনেস সেন্টার, স্পা হাউস, বিউটি পারলার, ক্লিনিক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, কোচিং সেন্টার ও বুটিকের দোকান। এ ছাড়া আবাসিক এলাকার কোনো বাড়িতে কেউ যদি ভূতলের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা না রেখে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করেন সেগুলোও উচ্ছেদ করা হবে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের লাইসেন্স বাতিল, নবায়ন না করা এবং নতুন কোনো লাইসেন্স না দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
তবে সিটি করপোরেশন বলছে, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রমের লাইসেন্স সিটি করপোরেশন দেয় না। ২০০৭ সাল থেকে এটা একেবারেই বন্ধ রয়েছে। অনেকেই বাণিজ্যিক এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে আবাসিকে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
গত মাসের ২৯ ডিসেম্বর গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে শিল্প, বাণিজ্যিক বা আবাসিক যা-ই হোক না কেন, কেউ যদি বেসমেন্ট বা গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা না রাখেন বা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করেন, সেগুলো সব উচ্ছেদ করা হবে। সিটি করপোরেশন সেখানে ট্রেড লাইসেন্স দেবে না। আবাসিক এলাকায় কোনো হোটেল, গেস্টহাউস, রেস্টুরেন্ট থাকতে পারবে না। আবাসিকে এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণযোগ্য নয়।
রাজউকের চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন ভুঁইয়া জানান, এসব অবৈধ ও বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদ করতে তারা তিনটি দল গঠন করেছেন। সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত এই সাঁড়াশি অভিযান চলবে। আগামী সোমবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে অভিযান শুরু হবে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কারণে নগরীতে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর সমাধান করতে হবে। এজন্য করপোরেশনের পক্ষ থেকে একাধিকবার রাজউককে তাগিদও দেয়া হয়েছে। কয়েকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। তবে যারা এসব কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তাদের জীবন-জীবিকার বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে। রাজউকের নীতিমালায় ব্যাপক সমস্যা আছে। সেটিরও পরিবর্তন করতে হবে।
এদিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বলছে, এজন্য বেশি দায়ী সিটি করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটি থেকে অনেকেই সীমিত আকারে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অনুমোদন নিয়ে বেশি বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাচ্ছেন। লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনো তদারকি থাকে না। যে কেউ চাইলেই দিনে দিনে লাইসেন্স দেয়া হয়।
তবে সিটি করপোরেশন বলছে, আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রমের লাইসেন্স সিটি করপোরেশন দেয় না। ২০০৭ সাল থেকে এ কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই