৪ ঘণ্টা জেরার পর অবশেষে তাপস পালকে গ্রেফতার

রোজভ্যালি কাণ্ডে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও অভিনেতা তাপস পাল৷ সংস্থার সঙ্গে তার সম্পর্ক ও আর্থিক লেনদেনের বিষয় জানতে তিনদিন আগেই সমন পাঠিয়েছিল সিবিআই৷

সেইমতো শুক্রবার সস্ত্রীক কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন তাপস৷ টানা চার ঘণ্টা জেরার পর তাকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নিলেন তদন্তকারী অফিসাররা৷

রোজভ্যালি কাণ্ডে তদন্তে নেমে তাপস পাল সংক্রান্ত একাধিক তথ্য হাতে উঠে আসে সিবিআইয়ের৷ জানা যায়, সংস্থার একটি কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন তিনি৷ অ্যাকাউন্টস বিভাগের কর্মচারীদের জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, লক্ষ লক্ষ টাকা ট্রান্সফার হয়েছে তার অ্যাকাউন্টে৷ এমনকী নগদেও বিপুল পরিমাণে অর্থ দেওয়া হত তাপসকে৷ পাশাপাশি সংস্থা থেকে নানা সুযোগ সুবিধাও নিতেন তিনি৷

ঠিক কেন এত সুবিধা দেওয়া হত তাপসকে, কেনই বা নগদে টাকা নিতেন তিনি, এসবই তাপসের থেকে জানতে চান গোয়েন্দারা৷ তাকে রোজভ্যালি সংক্রান্ত যাবতীয় নথিও নিয়ে যেতে বলা হয়৷ সে সব খতিয়ে দেখেই তাপসের সঙ্গে রোজভ্যালির সম্পর্কের হদিশ পেতে চাইছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা৷

অর্থিক লেনদেনের বৈধতাও খতিয়ে দেখা হয়েছে৷ সূত্রের খবর, রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক ছিল তার৷ একাধিকবার বৈঠক হয়েছে তাদের মধ্যে৷ ঠিক কী বিষয়ে তাদের আলোচনা হত তারও নাগাল পেতে চাইছিলেন সিবিআই৷

এদিন দু -দফায় জেরা করা হয় তাকে৷ কিন্তু বেশ কিছু প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি সাংসদ-অভিনেতা৷ তার দেওয়া তথ্যের সঙ্গে, সিবিআইয়ের হাতে থাকা তথ্যে বিস্তর অসংগতি ধরা পড়ে৷ বিশেষত আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি তিনি৷

অনেক তথ্য গোপন করে গিয়েছিলেন বলেই মনে করছেন তারা৷ নগদ লেনদেনের বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি৷ তিনি তথ্য গোপন করছেন বলেই অনুমান গোয়েন্দাদের৷ এরপরই তদন্তের স্বার্থে তাকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল৷ সংবাদ প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই