৩ বছর পর দরিদ্রের সংখ্যা কমবে : মুহিত
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘আগামী তিন বছর পর দেশে দরিদ্রের সংখ্যা কমে যাবে।’
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর আর্মি গলফ ক্লাবে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের দুই দশকপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি একথা বলেন।
আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের দুই দশকপূর্তি উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। শনিবার সন্ধ্যা ৫টার দিকে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। ব্যাংকটির দুই দশকপূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বাণী অনুষ্ঠানে পড়ে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সম্মানিত অতিথি হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. নাজিম উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ব্যাংকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান, পর্ষদের পরিচালক ও প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি। আশা করি, আগামীতে ২০ কোটির বেশি যাবে না- এর মধ্যেই থাকবে। আর এই ২০ কোটির মধ্যে দরিদ্র থাকবে না। এখন যা আছে, আগামী তিন বছর পর তা আর থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকের শাখা অনেক বেড়েছে, ব্যাংকিং ব্যবসাও অনেক বেড়েছে। এখন আমাদের ব্যাংকিং সেক্টর বেশ প্রভাশালী হয়েছে। দোষ-গুন যে নেই তা নয়। হলমার্ক স্ক্যান্ডাল আছে, ওই স্ক্যান্ডালের কথা যখন মনে হয় তখন আর কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগ্রহ থাকে না। তবে এখানে পারিপার্শ্বিক বিষয়ের ওপর বিবেচনার বিষয় আছে। আমরা মানুষ। খারাপ কিছু দেখলে আকাশ-পাতাল তোলপাড় হয়ে যায়। কিন্তু মানুষের গুনও আছে। গুনের ব্যাপারটা অতো সহজে আকর্ষণ করে না। তাই ব্যাংকিং খাতের অনুষ্ঠানে অনেক ভাবনাচিন্তা করে আসতে হয়। তবে এদের রেকর্ড সুন্দর তাই আসতে ভালো লেগেছে।’
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ব্যাংকিং সেক্টরে সরকারি প্রতিষ্ঠান খুব কম আছে। ব্যাংকিং সেক্টরে আছে আনসার বাহিনী, সেনাবাহিনীরও ব্যাংক আছে। আবার সীমান্তরক্ষী বাহিনীও ব্যাংক করতে চাইছে।’
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আনসার সদস্যরা অন্য বাহিনীর তুলনায় যেকোনো প্রয়োজনে যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো জায়গায় আগে পৌঁছে যেতে পারে। কারণ তারা দেশের সব এলাকায় রয়েছে। তাই যেকোনো প্রয়োজনে তারা খবর পাওয়ামাত্র দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেতে পারে, যা অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা পারে না। যে অভিজ্ঞতা তারা অর্জন করেছে, এর পাশাপাশি তারা আরো সমৃদ্ধ হোক এটিই কামনা করি।
আনসার বাহিনীর ডিজিকে এই ব্যাংকের চেয়ারম্যান করারতে অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে ‘ব্যাংকটি বাংলাদেশের হতদরিদ্র মানুষদের কল্যাণে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে’ বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা ব্যাংকটির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নতুন করে প্রস্তুতকৃত ব্যাংকের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন। দায়িত্ব পালনকালে নিহত আনসার সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে সর্বমোট ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয় এ অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের পরিচালক অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মইনুল ইসলাম।
মন্তব্য চালু নেই