৩৬ দফা কাঠমান্ডু ঘোষণা
৩৬ দফা কাঠমান্ডু ঘোষণার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) ১৮তম শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়েছে।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী এবং সার্কের বর্তমান চেয়ারম্যান সুশীল কৈরালা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় কাঠমান্ডুর হোটেল র্যাডিসনে সার্ক মিডিয়া সেন্টারে এই ৩৬ দফা ঘোষণা করেন। এবারের কাঠমান্ডু ঘোষণায় বাংলাদেশের জাতীয় অগ্রাধিকারের অনেক বিষয় স্থান পেয়েছে।
এর আগে বুধবার দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়। সার্কের ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে।
কাঠমান্ডু ঘোষণায় দক্ষিণ এশীয় অর্থনৈতিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অবাধ বাণিজ্য চালু, সার্ক উন্নয়ন তহবিল, যোগাযোগ, জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তা, পরিবেশ, সাগর-অর্থনীতি, ২০১৫ সাল-পরবর্তী উন্নয়ন এজেন্ডা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অভিবাসন, পর্যটন, সন্ত্রাসবাদ, সুশাসন, সার্ক সচিবালয়সহ সার্কের প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার মতো বিষয়গুলো এসেছে।
ঘোষণায় দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সার্ক নেতারা নিজেদের সহযোগিতা জোরদারে অঙ্গীকার করেন। এ লক্ষ্যে তারা সহযোগিতা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, নিরাপত্তা, অবকাঠামো, যোগাযোগ খাতের বিভিন্ন প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এবং নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে ফলভিত্তিক এমন প্রকল্প, কর্মসূচি ও কার্যক্রম নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ঘোষণায় ইতিপূর্বে সই হওয়া চুক্তি ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সার্ক সচিবালয়ের ক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবছর সার্কের কার্যক্রম ও অগ্রগতি-সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তও স্থান পায় ৩৬ দফা ঘোষণায়।
গত ২২ নভেম্বর কাঠমান্ডুতে ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য নিবিড় সংহতি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হয় দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সংস্থার এ সম্মেলন। সার্কের আট নেতার উপস্থিতিতে বিদায়ি চেয়ারম্যান মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম সম্মেলন উদ্বোধন করেন। সার্ক রীতি অনুযায়ী দায়িত্ব নেন স্বাগতিক নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা।
এবার তিন বছর পর অনুষ্ঠিত হলো সার্ক সম্মেলন। এর আগে ২০১১ সালে মালদ্বীপের রাজধানী মালে থেকেও বেশ খানিকটা দূরে ভারত মহাসাগরের বুকে আদ্দু সিটিতে ১৭তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য চালু নেই