৩৬ ঘণ্টার সফরে ২৮ শিডিউল

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরসূচি প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ৩৬ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফরকালে নরেন্দ্র মোদি সোনারগাঁও হোটেলে অবস্থান করবেন।

সফরসূচি অনুযায়ী শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় বিশেষ বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন মোদি। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানাবেন। বিমানবন্দরে মোদিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।

এরপর বিমানবন্দর থেকে পৌনে ১১টায় মোদি সড়কপথে সরাসরি সাভারের স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনাদের উদ্দেশ্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পরে সাভারের একটি গার্মেন্টস কারখানা পরিদর্শনের কথা থাকলেও সূচি থেকে সেটি বাদ দেওয়া হতে পারে। সাভার থেকে মোদি ধানমন্ডিতে আসবেন এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। এরপর মোদি সোনারগাঁও হোটেলে পৌঁছে ঘণ্টা দুয়েক বিশ্রাম নেবেন।

বিকেলে সাড়ে ৩টায় হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর বিকেলে ৪টার দিকে নরেন্দ্র মোদি যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে। এখানেই দুই প্রধানমন্ত্রী কিছুক্ষণ একান্ত বৈঠক করবেন। এরপর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দু’দেশের মধ্যে প্রায় দুই ডজন চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও প্রটোকল স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে বাংলাদেশ-ত্রিপুরা সীমান্ত হাটের উদ্বোধন করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রায় তিনঘণ্টার বৈঠক ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে হোটেলে ফিরবেন নরেন্দ্র মোদি।

এরপর রাত ৮টায় সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন নরেন্দ্র মোদি। বলরুমে নৈশভোজের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে রাত ১০ পর্যন্ত।

সফরের শেষদিন অর্থাৎ ৭ জুন সকাল ৯টার দিকে মোদি ঢাকেশ্বরী মন্দীর ও রামকৃষ্ণ মিশণ পরিদর্শন করবেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বারিধারায় কূটনৈতিক পাড়ায় ভারতীয় হাইকমিশনের একটি দপ্তরও উদ্বোধন করবেন মোদি। সেখান থেকে কিছুক্ষণের জন্য আবার হোটেলে আসবেন।

এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যাবেন নরেন্দ্র মোদি। বঙ্গভবনের দরবার হল-এ আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতা ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর পক্ষে বাংলাদেশের দেওয়া স্বাধীনতা সম্মাননা গ্রহণ করবেন মোদি।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও দুই প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করবেন। বঙ্গভবন পরিদর্শন বইতেও স্বাক্ষর করবেন তিনি। এরপর রাষ্ট্রপতির দেওয়া মধ্যহ্নভোজে যোগ দেবেন মোদি। বঙ্গভবনের আনুষ্ঠানিকতা সেরে মোদি হোটেলে ফিরবেন বিকেল ৩টায়। এরপর বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও অন্যান্য নেতারা হোটেলে এসে মোদির সঙ্গে দেখা করবেন।

তবে এ যাত্রায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মোদির সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সুশীল সমাজ, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক ও বিশিষ্টজনের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করবেন নরেন্দ্র মোদি। বক্তৃতা শেষে সরাসরি বিমানবন্দরে যাবেন তিনি। বিমানবন্দর থেকে রাত সাড়ে ৮টায় বিশেষ বিমানে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন নরেন্দ্র মোদি।



মন্তব্য চালু নেই