৩৩ ঘণ্টা ধরে ‘অবরুদ্ধ’ রিজভী!

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘৩৩ ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ’ আছেন।

শুক্রবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টায় সেখানে এক সংবাদ সম্মেলন করার পর থেকেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।

খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বাইরে গোয়েন্দা পুলিশসহ (ডিবি) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেয়ায় কয়েকবার চেষ্টা করেও বের হতে পারেননি বিএনপির সিনিয়র এ যুগ্ম-মহাসচিব। রিজভীর সঙ্গে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতাও অবরুদ্ধ আছে বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে শনিবার (৩০ জুলাই) রাত ৮টায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শুক্রবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ফলে, আমি কয়েকবার চেষ্টা করেও বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে বের হতে পারছি না।’

রিজভীর সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন দলের ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম পটু, যুগ্ম-সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও আরিফুর রহমান তুষার নামের একজন কর্মী।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই রাজধানীর পল্লবী থানায় দায়ের করা বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলায় রুহুল কবির রিজভীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে প্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রুহুল আমিন মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে, আগামী ২৩ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।

২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে বিএনপির ডাকে হরতাল-অবরোধ চলাকালে নাশকতার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।

পরোয়ানার বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হবে বলে জানান রুহুল কবির রিজভী।

এদিকে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় রিজভী শিগগিরই বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন বলে তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্র আরো জানায়, তিনি (রিজভী) এ ব্যাপারে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন। আইনজীবীরা যখন বলবেন, তখনই আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন।’



মন্তব্য চালু নেই