৩০ বছরের কম বয়সীদের জন্য এই সংবাদটি নয়!

তিরিশ বছর আগে বয়স আর তিরিশ বছর পরের বয়সের মধ্যে ব্যবধান অনেক। না-হলে কেন বুদ্ধদেব বসুর মতো একজন লেখক লিখবেন ‘উত্তর তিরিশ’-এর মতো নিবন্ধ! তিরিশ বছরের সীমানা পার হতে হতে ভেঙে যায় বহু ইলিউশন। আবার এমন নতুন কিছু উপলব্ধি এসে জমে, যাকে গ্রহণ করতে গিয়ে মনে হয়, এমনটা না-হলেই বোধ হয় ভাল হত। সম্ভবত এটা দ্বিতীয় বয়ঃসন্ধি, যা প্রথমটির চাইতেও দুঃসহ বলে মনে হতে পারে কখনো কখনো।

যদি মানিয়ে নিতে হয় এই দ্বিতীয় বয়ঃসন্ধি, কিছু বিষয়কে আগে থেকে জেনে রাখা ভাল। দেখা যাক তার কয়েকটিকে।

• ‘কোনো বন্ধুত্বই চিরকালীন নয়’— এই মুল সত্যটিকে মাতায় রাখুন। প্রথম বয়ঃসন্ধিটি যদি বন্ধুত্ব গড়ার সময় হয়ে থাকে, দ্বিতীয়টি তবে বন্ধুত্ব বিয়োজনের। মনে নিন এই প্রধান সত্যটি।

• প্রেম যদি না-হয়ে থাকে, তবে নিরাশ হবেন না। এবারে যে প্রেমটি হবে, তার বুনিয়াদ অনেক মজবুত।

• স্ট্রেস-কে বুঝুন। অহেতুক অতিরিক্ত দায়িত্ব ঘাড়ে নিয়ে নিজেকে বিড়ম্বনায় ফেলবেন না।

• বন্ধুদের প্রায়োরিটি অনেক দিয়েছেন, এবারে নিজেকে দিন।

• ব্যার্থতাকে মনে নিতে শিখুন। এই সময়টা আপনার কর্মজীবনের প্রথম এই পর্বে বহু কিছুই ট্রায়াল-এরর পদ্ধতিতে স্থির হয়। সেখানে ব্যর্থতা মানে যে চিরকালীন হেরে যাওয়া নয়, সেটা মনে রাখবেন।

• কম বয়সে অনেক কথা বলেছেন। এবারে কিছুটা কম কথা বলতে শিখুন। তার থেকে বরং ভাল শ্রোতা হন। শুনুন অন্যরা কী বলছেন। এটাই বুদ্ধিমান লোকেদের বৈশিষ্ঠ।

• শরীরের যত্ন নিন। মনে রাখবেন এই সময়টাতেই আপনার শরীর শেষবারের মতো পরিণতি পাচ্ছে। বেশি এক্সপেরিমেন্ট আর সইবে না।

• নিজের ইনস্টিংক্টকে বিশ্বাস করতে শিখুন। এটা নিজেকে জানারো একটা প্রকৃত উপায়। ইনস্টিংক্ট কখনো আপনাকে মিথ্যে বলবে না।

• সহিষ্ণু হন। কারণ, এর পরে আপনাকেই সামলাতে হবে আপনার দুনিয়া।

• জীবনে কিছু হল না— এই মনোভাবকে প্রশ্রয় দেবেন না। ‘কিছু’ ব্যাপারটা খুবই গোলমালে।-এবেলা



মন্তব্য চালু নেই