২২ বছর ধরে আন্দোলনে আছি, লাভ হচ্ছে না
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিগত ২২ বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। আমাদের কথা যাদের কানে পৌঁছালে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব, তাদের কানেই কথা পৌঁছাচ্ছে না।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ২ ডিসেম্বর রাজধানীর বাড্ডায় বাসচাপায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাদী মোর্শেদ নিহত হওয়ার ঘটনায় ঘাতক চালকের শাস্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন নিহতের বন্ধুরা।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘দেশের মেধাবী মানুষগুলো প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হচ্ছে। এর পরেও আইন যতটা সঙ্গত হওয়ার কথা ততটা হচ্ছে না। অদক্ষ চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে না।’
সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকরাই দায়ি নয় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘পথচারীদের অনিয়মতান্ত্রিক চলাফেরার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে। পথ চলার সময় মোবাইল ব্যবহার করা বা অন্য কারো সঙ্গে কথা বলতে বলতে বেখেয়ালিভাবে রাস্তা পার হওয়ার সময়ও অনেক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।’
সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পাঠ্যপুস্তকে এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান এ চিত্রনায়ক।
নিসচা চেয়ারম্যান বলেন, ‘একটি বাসে ৪০-৫০ জন যাত্রী থাকে। তাহলে অ্যাক্সিডেন্ট করার পর ওই চালক কীভাবে পালিয়ে যায় সেটা বোধগম্য নয়। তার মানে বাস যাত্রীরাই চালককে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করে।’
যাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোনো চালক অ্যাক্সিডেন্ট করলে তাকে পালিযে যেতে সহযোগিতা না করে আইনের হাতে সমর্পণ করুন। আমরা নিজেরাই সচেতন হলেই সড়ক দুর্ঘটনা দূর করা সম্ভব।’
এসময় নিহত সাদীর বাবা এস এম এ আলম বলেন, ‘৩ ডিসেম্বরের গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ অনুযায়ী বাসচালক যখন সাদীর মোটর সাইকেলের পেছন থেকে আঘাত করে তখন চালক ফোনে কথা বলছিল। ধাক্কা দেয়ার পর বাস না থামিয়ে সাদীকে চাপা দিয়ে বাসচালক পালিয়ে যায়।’
সাদী মারা যাওয়ার ১ মাস পার হলেও সেই খুনি বাসচালক আটক হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই