২০ বছরেও হয়নি জাবির স্টেডিয়াম

শাহাদত হোসাইন স্বাধীন, জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে স্টেডিয়াম তৈরির জন্য টাকা বরাদ্দ হয় ২০ বছর আগে। তবে খেলার মাঠ সেই খেলার মাঠই রয়ে গেছে। নির্মিত হয়নি স্টেডিয়াম। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে স্টেডিয়াম তৈরি জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেক ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্টেডিমায়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজ শুরু হয়েও পরে বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এ নিয়ে কোনো প্রশাসন, এমনকি বর্তমান প্রশাসনও কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ২৫ লাখ টাকা কোথায় রয়েছে তারও কোনো হদিশ জানেন না শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শারীরিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ক্রিকেট, ফুটবল, হ্যান্ডবল, বাস্কেট বলের মতো প্রায় ৩৫টি টিমের খেলা একই মাঠে একই দিনে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু স্টেডিয়াম না থাকায় দর্শকরা মাঠের মধ্যখানে দাঁড়িয়ে খেলা দেখে। এ অবস্থায় যে কোনো সময় বলের আঘাতে গুরুতর দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও মন্তব্য করেন শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক দেবব্রত পাল।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাহুল বলেন, আমরা যারা খেলাপ্রেমী তারা যে একটি জায়গায় বসে ভালোভাবে খেলা উপভোগ করবো তার কোনো ব্যবস্থা নেই। ঝুঁকি নিয়ে খেলা দেখতে হয়। কিন্তু এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ কখনো আমাদের চোখে পড়েনি।

জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাজেদা রহমান শারমিন বলেন, এটা ভাবতে অবাক লাগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কোনো স্টেডিয়াম নেই। এ বিষয়ে প্রশাসনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

শারীরিক শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিচালক এস এম সাদাত হোসেন বলেন, স্টেডিয়াম তৈরি কেন হয়নি বা স্টেডিয়াম তৈরি জন্য যে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তা কোথায় আছে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই ভালো বলতে পারবে।

স্টেডিয়ামের জন্য বরাদ্দ টাকার কথা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, অনেক আগে স্টেডিয়াম তৈরি জন্য ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিলো। তা এখনও অ্যাকাউন্টে জমা আছে।

স্টেডিয়াম তৈরি কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তো অনেক টাকার ব্যাপার। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা চালানো হবে।



মন্তব্য চালু নেই