২০০ বছর পর খোলা হল যিশুর সমাধি

সারা পৃথিবীর খ্রিষ্টানরা বিশ্বাস করেন এখানেই সমাধিস্থ করা হয়েছিল যিশুকে। ক্রুশবিদ্ধ করার পর তাঁকে শুইয়ে রাখা হয়েছিল একটি পাথরের উপর। হোলি সেপালকর গীর্জার নীচে থাকা যিশুর সেই সমাধি খুলে দেখলেন বিশেষজ্ঞরা। অন্তত গত দুই শতকে প্রথমবার খোলা হল এই সমাধি।

সমাধিস্থল সংরক্ষণের বিশেষ কাজ ও সেই সঙ্গে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার কারণেই খোলা হয়েছিল এ সমাধি। যে অভিজ্ঞতা রীতিমতো বিস্ময়কর বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যে পাথরের উপর ক্রুশবিদ্ধ যিশুকে শুইয়ে রাখা হয়েছিল বলে দুনিয়াজোড়া বিশ্বাস, বিশেষজ্ঞরা সেই পাথর সরিয়ে দেখেন।

এর আগে আগুনে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার দরুণ আরও একবার মেরামতির কাজ হয়েছিল স্থানটিতে৷ তবে তাও প্রায় ২০০ বছর আগে বলেই মনে করা হচ্ছে। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র এই স্থানে প্রতিদিনই বহু মানুষের সমাগম হয়।

সারা বিশ্ব থেক পর্যটকরা এসে এই জায়গায় ভিড় জমান। সেই কারণেই মার্বেল স্ল্যাবটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে৷ সেটিকেই ঠিকঠাক করার কাজে খোলা হল যিশুর সমাধি৷ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই সংরক্ষণ ও পুনর্নির্মাণ কাজ।

সরু গর্ভগৃহের আকৃতির এই জায়গার একেবারে নীচে আছে সমাধি৷ এই পুরো অংশটি যে এখনও প্রায় অবিকৃত আছে তা দেখে বিশেষজ্ঞরা চমকে গিয়েছেন৷ মার্বেল পাথরের নীচে কিছু জিনিসও পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা, যা গবেষণার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ প্রভু যিশুকে আদৌ ক্রুশবিদ্ধ হয়েছিল কি না তা নিয়ে অবশ্য তর্ক আছে৷ এমনকী তাঁর অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

তবে হাজার হাজার বছর ধরে মানুষের বিশ্বাস পাথরের থেকেও ভারী৷ তাই ডিএনএ পরীক্ষা করার কিছু নেই, তেমন কোনও অবশেষ পাওয়াও যায়নি৷ তবে এই সংরক্ষণ কাজ যিশুর সমাধিকে নতুন করে দেখাল।

সাধারণভাবে যেটুকু দেখা যায় বা ২০০ বছর ধরে মানুষ যা দেখে এসেছেন এতদিন, তার থেকে আলাদা ভাবেই দেখতে পাওয়া গেল যিশুর সমাধি৷ পুরো কাজটিই ক্যামেরাবন্দি করে রাখা হয়েছে৷ তোলা হয়েছে অজস্র ছবি৷ যা দেখে শিহরিত হচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের খ্রিষ্টানরা। -সংবাদ প্রতিদিন।



মন্তব্য চালু নেই