২’শ পরিবারের ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে এনজিও উধাও

কল্যাণ কুমার চন্দ, বরিশাল থেকে : দারিদ্র বিমোচনের নামে পরিচালিত বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পল্লী উন্নয়ন সংস্থা (পিইউএস) নামের একটি এনজিও জেলার গৌরনদী উপজেলার দুটি ইউনিয়নের দু’শতাধিক নিরিহ পরিবারকে প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। আমানাতকারীরা ঋণের অনূকুলে রাখা সঞ্চয়ের অর্থসহ সর্বস্ব হারিয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

অবশেষে ভূক্তভোগীরা বৃহস্পতিবার সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, নড়াইল জেলা সদরের জনৈক জাহানারা বেগম (৪৫) ও গোপালগঞ্জ জেলা সদরের জনৈক সালমা আক্তার গত এপ্রিল মাসে গৌরনদীর মাহিলাড়া বাসষ্টান্ড সংলগ্ন শাহজাহান খানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে অফিস খোলেন। তারা নিজেদের পল্লী উন্নয়ন সংস্থা নামের বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উপজেলা সমন্বয়কারী ও মাঠ কর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়। সংস্থার কেন্দ্রীয় প্রধান কার্যালয় হিসেবে সাইনবোর্ডে উল্লেখ করা হয় (বি.বি এভিনিউ খদ্দর বাজার শপিং কমপ্লেক্সে (৬ষ্ঠ তলা), ৫৮নং রুম, ঢাকা-১০০০)।

সংস্থার সদস্য ফরমে দেখা গেছে, গ্রামের ১৮ থেকে ৪৫ বছরের নারী ও পুরুষ ১৫০ টাকা জমা দিয়ে ফরমপূরন করে সদস্য হতে পারবেন। একই পরিবারের একাধিক সদস্যও হতে পারবেন। সদস্য হওয়ার পরে সপ্তাহে ২৫ টাকা সঞ্চয় জমা দিতে হবে। তিন সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পর সমিতির এক তৃতিয়াংশ সদস্যকে ঋণের আওতায় আনা হবে। সূত্রমতে, পল্লী উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা নিরিহ মানুষকে অধিক মাত্রার প্রলোভনে ফেলে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের মাহিলাড়া, বাঘার, ভিমেরপাড় ও বাটাজোর ইউনিয়নের কেফায়েতনগর, বাটাজোর, হরহর, বছার, ঘেয়াঘাট, লক্ষণকাঠী, জয়শুরকাঠী, চন্দ্রহার, উত্তর পশ্চিম চন্দ্রহারসহ ১২টি গ্রামের দুইশ পরিবারের ৩’শ জনকে সদস্য করে প্রতারনার মাধ্যমে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় গ্রহণ করে প্রায় ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত কয়েকদিন পূর্বে উধাও হয়ে যায়।

সূত্রে আরও জানা গেছে, ভূক্তভোগীরা বুধবার ঋণ নিতে অফিসে এসে দেখতে পান অফিস তালাবদ্ধ। অফিসের ব্যক্তিগত চারটি মোবাইল ফোন রয়েছে বন্ধ। বাড়ির মালিক শাহজাহান খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অফিস বন্ধের ব্যাপারে কিছুই বলতে পারছেননা। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গৌরনদী মডেল থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলন প্রতারিতদের অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি একটি সাধারন ডায়রী করা হয়েছে। প্রতারকদের ধারার জন্য অনুসন্ধান চলছে।



মন্তব্য চালু নেই