১ মাসে উন্নয়ন ব্যয় ২০ হাজার কোটি টাকা

চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ১২ মাসে (জুলাই-জুন) সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) ৯০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। এর আগে ১১ মাসে ৬২ শতাংশ আরএডিপি বাস্তবায়িত হয়েছিল।
এই হিসেবে এক মাসের ব্যবধানে বাস্তবায়নের হার বেড়েছে ২৮ শতাংশ অর্থাৎ এক মাসে ২০ হাজার ২১ কোটি টাকা উন্নয়ন কাজে ব্যয় করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো।
প্রসঙ্গত, ৯৩ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকার আরএডিপি বাস্তবায়নের টার্গেট নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে ১২ মাসে ব্যয় হয়েছে ৭৯ হাজার ১১৫ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভাশেষে আরএডিপির বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশকালে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ সময় তিনি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবদেনও তুলেন ধরেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে ১২ মাসে ৯০ শতাংশ আরএডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাস্তবায়িত হয়েছিল ৯১ শতাংশ।’
তিনি বলেন, ‘এখনও দুটি মন্ত্রণালয়ের তথ্য পাওয়া বাকি রয়েছে। এগুলো পেলে এডিপি বাস্তবায়ন আরও বাড়তে পারে।’
আরএডিপি বাস্তবায়নে দুটি মন্ত্রণালয় বরাদ্দের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে। এর মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মোট বরাদ্দের ১২১ ভাগ এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত ১১৮ ভাগ অর্থ ব্যয় করেছে। এছাড়া সড়ক পরিবহন ও সরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মোট বরাদ্দে শতভাগ অর্থ ব্যয় করতে পেরেছে।
অন্যদিকে বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটি আরএডিপি বাস্তবায়নে শূণ্য শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে।
তবে তথ্য মন্ত্রণালয় ১৯ শতাংশ, জাতীয় সংসদ সচিবালয় ২৩ শতাংশ, নির্বাচন কমিশন ২৬ শতাংশ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ২৭ শতাংশ এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ আরএডিপি বাস্তবায়নে ৩৩ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে।
মন্তব্য চালু নেই