কাওড়াকান্দি-মাওয়া ফেরিঘাট

১৬ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু

বৈরী আবহাওয়া ও তীব্র স্রোতের কারণে ১৬ ঘণ্টা পর কাওড়াকান্দি-মাওয়া ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে আবার ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।

স্রোতের তীব্রতা উপেক্ষা করে অগ্রসর হতে পারে না বুড়ো ইঞ্জিন। মাঝে মাঝেই বাধ সাধে সামনে যেতে। আবার কখনো প্রাণপণ চেষ্টা এগিয়ে যাওয়ার। আবার হাল ছেড়ে দিয়ে স্রোতের পক্ষেই ভেসে থাকা। এই হলো কাওড়াকান্দি-মাওয়া নৌরুটে চলাচলরত ডাম্প ফেরি চিত্র।

তীব্র স্রোতের কারণে দ্বিতীয় দফায় রোববার দুপুরে আবার চলাচলে বিরত রাখা হয় এই ৭টি ডাম্প ফেরি। এছাড়া রাতে কে-টাইপ ফেরি ফরিদপুরও স্রোতকে উপেক্ষা করে চলতে না পারায় ঘাটে নোঙর করে রাখা হয়।

বিআইডব্লিউটিএর কাওড়াকান্দি ঘাট সূত্র জানায়, আবহাওয়া ভালো যাচ্ছে না। বাতাস ও বৃষ্টি থেমে থেমে হচ্ছে। বাতাস বেড়ে গেলে স্রোতের তীব্রতা বেড়ে যায়। তখন ডাম্প ফেরি স্রোত ঠেলে চলতে পারেনা। দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য তখন বন্ধ রাখা হয়। তবে রো রো ফেরি চলাচলে কোনো সমস্যা হয়না।

এদিকে, দুইদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি ও বাতাস হওয়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বারখ্যাত শিবচরের কাওড়াকান্দি-মাওয়া নৌরুট। উত্তাল পদ্মায় ঢেউ ও স্রোতের তীব্রতায় প্রায় ১৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ৭টি ডাম্প ও একটি কে-টাইপ ফেরি সোমবার সকাল থেকে চলাচল শুরু করেছে। ফেরি চলাচল ঘন ঘন ব্যাহত হওয়ার কারণে শিবচরের কাওড়াকান্দি ঘাটে বেড়ে যাচ্ছে যানজট। ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ার আগেই দেখা দিচ্ছে দুর্ভোগের পূর্বাভাস।

বিআইডব্লিউটিএর কাওড়াকান্দি ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক আব্দুল বাতেন মিঞা বলেন, স্রোতের কারণে কিছু ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ঘাট এলাকায় যানজট দেখা দিচ্ছে। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক সম্পূর্ণভাবে এখন প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। স্রোত কম থাকলে ঠিকমতো চালানো যাচ্ছে। আবার স্রোত বেড়ে গেলে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।’



মন্তব্য চালু নেই