১৬০০ পুকুর সংরক্ষণ করবে সরকার
দেশের ১ হাজার ৬১৮টি পুকুর ও জলাশয় সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর চাপ হ্রাস পাবে ও গ্রামীণ অঞ্চলে পানি সরবরাহের পরিধি বাড়বে। এজন্য ৩৭৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয় সংবলিত একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশের মোট ৪২টি জেলায় এসব পুকুর ও জলাশয় সংরক্ষণ করা হবে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সরকারের ‘রূপকল্প-২০২১’ এর আলোকে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে পুকুর পুনঃখননের মাধ্যমে নিরাপদ পানির উৎস নিশ্চিতের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ‘পানি সংরক্ষণ ও নিরাপদ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে জেলা পরিষদের পুকুর/দীঘি/জলাশয়সমূহ পুনঃখনন/সংস্কার’ শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে সরকার। জেলা পরিষদের মালিকানাধীন পুকুরের তালিকা ও ডিপিএইচ’র মাঠ পর্যায়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সরেজমিনে ওই তালিকা যাচাইয়ের পর মোট ৮০৯টি পুকুর নির্ধারণ করে প্রকল্পটি প্রণয়ন করে। এ প্রকল্পের আওতায় জেলা পরিষদের মালিকানাধীন মোট ৮০৯টি পুকুর পুনঃখনন, ৫৭৪টি পুকুর পিএসএফ (পন্ড স্যান্ড ফিল্টার), ২২৫টি সোলার পিএসএফ নির্মাণ ও ১০টি পন্ড ওয়াটার ফিল্টারেশন সিস্টেমের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একইসঙ্গে মুন্সীগঞ্জ জেলায় ৩০০ থেকে ৪০০ মেগাওয়াট সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণসহ মোট পাঁচটি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৯৭৪ কোটি ৩১ লাখ ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ১৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, দেশের সবগুলো বিভাগীয় অফিস যেন একই রকমভাবে নির্মাণ করা হয়, সেজন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাছাড়া রংপুর বিভাগীয় অফিসে অডিটরিয়াম ১০ তলায় না করে নিচ তলাতে করার নির্দেশনা দিয়েছেন। যাতে দুর্ঘটনা ঘটলে মানুষ সহজেই নিচে নামতে পারেন। এছাড়া ঢাকা সেনানিবাসে ডাইরেক্টর জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টোলিজেন্স এর অফিসার্স মেস কমপ্লেক্স ও বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্পটি ১৪ তলা ফাউন্ডেশন হলেও সেটি সাত তলা পর্যন্ত নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে, রংপুর বিভাগীয় সদর দফতর নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। মুন্সীগঞ্জ জেলায় ৩০০ থেকে ৪০০ মেঘাওয়াট সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে ভুমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
রুপগঞ্জ জলসিড়ি আবাসন সংযোগকারী সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১০২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ঢাকা সেনানিবাসে ডাইরেক্টর জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) এর জন্য আনুষঙ্গিক কাজসহ অফিসার্স মেস কমপ্লেক্স ও বাসস্থান নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫০ কোটি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, পরিকল্পনা সচিব তারিক-উল ইসলাম ও সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম।
মন্তব্য চালু নেই