১৫ মার্চের পর লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল চলবে না

আগামী ১৫ মার্চের পর থেকে সারা দেশে লাইসেন্সবিহীন কোনো মোটরসাইকেল চলতে পারবে না। পুলিশ সদর দফতর থেকে পুলিশ সুপারদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মোটরসাইকেলের লাইসেন্স খরচ কমানোর জন্য সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়েও একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। অপরাধ প্রবণতা কমাতে এবং বিপুল পরিমাণ লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেলকে লাইসেন্সের আওতায় আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শনিবার পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশের আইজি জানান, সাম্প্রতিককালে মোটরসাইকেলে চড়ে যেসব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, তার বেশির ভাগেরই লাইসেন্স নেই। ফলে এসব অপরাধীকে পাকড়াও করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাদের অনেক খোঁজা-খুঁজি করেও হদিস পাওয়া যায় না।

এ ছাড়া অনেকে সাংবাদিক লেখা স্টিকার লাগানো লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেলে করে অপরাধ কর্মকাণ্ড করছেন। ফলে অপরাধ করে গাড়িটি ফেলে গেলেও তাদের কিছুই করার থাকে না। পক্ষান্তরে লাইসেন্স করা মোটরসাইকেল নিয়ে কোনো অপরাধ করলে তাদের সহজেই পাকড়াও করা সম্ভব। খুব সহজেই তাদের শনাক্ত করা যায়।

এ কে এম শহীদুল হক জানান, লাইসেন্সবিহীন গাড়ি যারা ব্যবহার করছেন তাদের অনেকেই বিভিন্ন দলের ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মী। তাদের গাড়িতে সাংবাদিক, আইনজীবী ও পুলিশ লেখা রয়েছে। এদের সংখ্যা অনেক। এই বিপুল পরিমাণ লাইসেন্সবিহীন গাড়িকে লাইসেন্সের আওতায় আনতে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়কে লাইসেন্স ফি কমানোর জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।

পার্শ্ববর্তী দেশের উদাহরণ টেনে আইজিপি জানান, পাশের দেশে যেখানে একটি মোটরসাইকেল লাইসেন্স করতে মাত্র পাঁচ হাজার টাকা লাগে। সেখানে বাংলাদেশে একটি ১০০ সিসি মোটরসাইকেলের জন্য ১২ হাজার এবং ১৫০ সিসির জন্য ২২ হাজার টাকা লাগে। এই ফি যদি কমানো যায় তবে অনায়াসেই লাইসেন্সধারীর সংখ্যা বাড়বে। ফলে তারা একটি আইনি কাঠামোর মধ্যে আসবে। তা ছাড়া সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্য আদায় হবে।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি মোটরসাইকেলে চালক ব্যতিত কেউ উঠতে পারবে না, এ মর্মে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়। এরপর ব্যাপক অভিযান চালায় পুলিশ। সম্প্রতি রাজধানীতে মোটরসাইকেলে দুজন ওঠা নিয়ে সাংবাদিক ও পুলিশের সদস্যদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের জন্য মোটরসাইকেলে দুজন ওঠার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেন আইজিপি।



মন্তব্য চালু নেই