আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা করে দুই রাজনৈতিক জোটের কাছে ক্যাব চট্টগ্রাম’র আহবান

১৪ লক্ষ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনাময় শিক্ষা জীবনের কথা চিন্তা করে অবরোধ ও সহিংসতা বন্ধ করুন

২ ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু হওয়া ১৪ লক্ষ এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিরাপদ ও উজ্জল ভবীষতের কথা চিন্তা করে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অবরোধ, হলতালসহ রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহার করে কোমলমতি শির্ক্ষার্থীদের উন্নত শিক্ষা জীবন নির্বিগ্ন করার দাবী জানিয়েছেন দেশের ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও মহানগর কমিটি। দেশের চলমান হরতাল, অবরোধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতায় ১৬ কোটি মানুষ অবরুদ্ধ, উৎকন্ঠায় দিনযাপন করলেও ১৪ লক্ষ এসএসসি পরীক্ষার্থী ও তাদের পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত প্রায় ১ কোটি পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় এবং চরম উৎকন্ঠায় দিনযাপন করছে। তাদের এ মানসিক সমস্যার কারনে পরীক্ষা প্রস্তুতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

অন্যদিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা চরম হুমকিতে হলেও দেশের সকল মহল উদ্বেগ ও উৎকন্ঠায় দিনাযাপনে বাধ্য হচ্ছে, তাই এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জীবনের একটি গুরুত্বুপূর্ন বিষয়টি অবরোধও রাজনৈতিক সহিংষতার আওতা বর্হিভুত না থাকায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে এসএসসি পরীক্ষাকে অবরোধ, রাজনৈতিক সহিংসতা, হরতাল ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের আওতা বর্হিভুত রাখার দাবী জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরনের সময় বাড়তি টাকা ফেরত দানের জন্য হাইকোর্ট শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে নির্দেশনা জারি করলেও শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও বোর্ডগুলো হাইকোর্টের এ নিদের্শনা কার্যকরে কোন শক্তিশালী উদ্যোগ নিতে পারেনি। অধিকন্তু এসএসসি পরীক্ষার্থীরা যথাসময়ে পরীক্ষা দিতে না পারলে তাদের পরিবার মানসিক ও আর্থিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সরকার পরীক্ষা কেন্দ্রে নিরাপত্তা বিধানের কথা বলা হলেও পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা কিভাবে নিরাপদে যাবে এবং বাড়ী ফেরত আসবে তার নিশ্চয়তা বিধান করার কথা বলা হচ্ছে না। অন্যদিকে গুটিকয়েক সন্ত্রসীদের পেট্রোল বোমা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আইন প্রযোগকারী সংস্থার লোকজনের যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দুর্বলতার কারনে প্রকৃত সন্ত্রাসীরা বারংবার এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে আর এর বলি হচ্ছে সাধারন মানুষ ও নিরপরাধ জনগোষ্ঠি, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। রজনৈতিক কর্মসুচির নামে সন্ত্রাস ও বোমাবাজি দেশকে বর্বর রাস্ট্রে পরিনত করলেও আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং বিগত দিনে সংঘঠিত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া সংস্কৃতিই দায়ী।

এ জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যক্রমও যথাযথ ভাবে মনিটরিং করা দরকার। নেতৃবৃন্দ দুঃখ করে বলেন অভ্যান্তরীন সহিংস সংঘাতে শ্রীলংকায় দীর্ঘদিন রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও কোনভাবে সে দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহিংসতা ছিল না এমনকি থাইল্যান্ডে বিগত রাজতৈনিক অস্থিরতায়ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা ও ব্যবসা বানিজ্য রাজনৈতিক কর্মকান্ডের আওতা বর্হিভুত ছিল, যার কারনে শিক্ষা ক্ষেত্রে এ সমস্ত দেশগুলি এতো অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এ বিষয়গুলি আমাদের রাজনৈতিক দলের বিবেচনায় থাকা উচিত ছিল

অপর এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ ও সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৪১জন অগ্নিদ্ধ হয়ে মারা গেলেও শত শত লোক চিৎিসাধীন থাকলেও দেশের ঢাকা মেডিকেল ছাড়া অন্যান্য হাসপাতালে অগ্নিদ্ধদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও অবকাঠামো নেই। যার কারনে অনেক রোগী সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে অকালে মৃত্যু বরণ করছে অথবা পঙ্গুত্ব বরণ করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই দেশের সর্বত্র সকল সরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলি আধুনিক যন্ত্রপাতি সুযোগ সুবিধা সম্মত বার্ন ইউনিট প্রতিষ্টার দাবী করেন।

অপর এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ প্রয়াত রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র magura-1416541976আরাফাত রহমানের মৃত্যুতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক শান্তনা দেবার জন্য বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে যাবার ঘটনাকে সাধুবাদ জানালেও রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত এ পর্যন্ত ৪১ পরিবারকে শান্তনা দেবার জন্য এ পর্যন্ত কোন মন্ত্রী বা সরকারের কোন মহলের শান্তনা ও সহমমির্মতা প্রদান না করায় এবং পরিবারগুলিকে পুর্নবাসনের কোন উদ্যোগ না থাকায় হতাশা প্রকাশ করে অবিলম্বে রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে পুর্নবাসনসহ তাদের জন্য সরকারী উদ্যোগ নেবার দাবী জানান।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটি সদস্য এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসসিন সুলতানা পারু, ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারন সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই