রানা প্লাজা দুর্ঘটনা

১৪ মাসেও চার্জশিট দিতে পারেনি পুলিশ

ঢাকার সাভারে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শিল্প দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধসের মামলায় ১৪ মাসেও চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি সিআইডি পুলিশ।

সোমবার আদালতে এ মামলাটির চার্জশিট দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিট দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ওই আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াসিম শেখ আগামী ১৩ আগস্ট চার্জশিট দাখিলের জন্য ফের দিন ধার্য করেছেন।

গত বছরের ২৪ এপ্রিল সংঘটিত এ দুর্ঘটনায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। অবহেলায় মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০৪ক/৩৩৭/৩৩৮ ধারায় একটি এবং ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২ এর ১২ ধারায় অপর মামলাটি দায়ের করা হয়।

হতাহতের ঘটনায় সাভার থানার এসআই ওয়ালী আশরাফ খান গত বছরের ২৫ এপ্রিল দণ্ডবিধির ৩০৪ক/৩৩৭/৩৩৮ ধারায় একটি মামলা করেন।

এছাড়া ইমারত বিধি লংঘনের দায়ে অপর মামলাটি দায়ের করেন রাজউকের অথরাইজড অফিসার হেলাল আহম্মেদ। দুটি মামলাই তদন্ত করছেন সিআইডির পরিদর্শক বিজয়কৃষ্ণ কর।

তদন্ত কর্মকর্তার দেয়া তথ্য মতে, এই ঘটনায় দায়ের করা ইমারত নির্মাণ আইনের মামলায় ১৬ থেকে ১৭ জনকে এবং হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৪০ জনকে আসামি করা হতে পারে।

হতাহতের মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জন আসামি জামিনে আছেন। জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল খালেক ওরফে খালেক কুলু, মোহাম্মদ আলী খান, রেফাত উল্লাহ, আবুল হাসান, অনিল কুমার দাস, শাহ আলম মিঠু, এমতেমাম হোসেন, রাকিবুল ইসলাম ও আলম মিয়া।

এছাড়া জেলহাজতে রয়েছেন আরও ১২ আসামি। এরা হলেন- বজলুস সামাদ আদনান, মাহমুদুর রহমান তাপস, সোহেল রানা, আমিনুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, আ. রাজ্জাক খান, আলমগীর, আব্দুল মান্নান, রাসেল, মধু, সারোয়ার ও সিদ্দিক।

এসব আসামিদের মধ্যে শাহ আলম মিঠু, অনিল কুমার দাস ও আবুল হাসান ভবন মালিক রানাকে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

ঢাকার জেলা প্রশাসক অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ি, রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে ২ হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত এবং ১ হাজার ১১৭ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৯ জন মারা যান। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ১৩৬ জন।



মন্তব্য চালু নেই