১৪ দলের সবাই ‘মুক্তিযোদ্ধা’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘১৪ দলীয় জোটে যারা আছেন তারা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। আমরা মুক্তিযুদ্ধের দল, জীবন দিয়ে যুদ্ধ করেছি, গণতন্ত্র রক্ষা করেছি। শেখ হাসিনার সঙ্গে যারা আছে তারা সবাই মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক।’

‘স্বৈরাচারের মতো আচরণ করবেন না, হুমকি দেবেন না। আপনি কাকে ভয় দেখান?’

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে গণতন্ত্রী পার্টির জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নাসিম।

জানুয়ারিতে ১৪ দল মাঠে নামবে উল্লেখ করে নাসিম বলেন, ‘গ্রামে-গঞ্জে ও রাজপথে ১৪ দলের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত থাকবে। বিএনপি-জামায়াতের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সজাগ থাকতে হবে। খুনির দল জামায়াত-বিএনপি-রাজাকারদের রাজপথে নামতে দেয়া হবে না।’

ডিসেম্বরের শেষেই আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে- বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের এমন বক্তব্যের একদিন পরেই এ কথা বললেন নাসিম।

বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ৩ মাস বাংলার মানুষ আপনার নৈরাজ্যের অত্যাচার দেখেছে। এক মুহূর্তের জন্যও অত্যাচার করতে রাজপথে নামতে দেয়া হবে না।’

পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই হবে। ২০১৯ সালের ১ দিন আগেও নির্বাচন হবে না, হওয়ার প্রশ্নই আসে না। নির্বাচনে না এসে আপনি (খালেদা জিয়া) ভুল করেছেন। এখন অপেক্ষা করতে হবে, জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। জনগণ যদি আপনাকে ক্ষমা করে তাহলে নির্বাচনে আসতে পারবেন। আপনার তো সে সুযোগও নেই।’

৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারি নির্বাচন না হলে দেশে মার্শাল ল হতো। গণতন্ত্র থাকতো না, মানুষের অধিকার থাকতো না। থাইল্যান্ডের মতো পরিস্থিতি হতো বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৪ দলকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করেছেন। আমরা খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দিয়েছিলাম। তিনি আলোচনায় আসেননি, নির্বাচনে আসেননি। হরতাল-অবরোধ করেছেন, মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন। বেগম জিয়া জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ হত্যা করেছেন, বাসচালক-যাত্রী হত্যা করেছেন, গাছ কেটে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন।

‘খালেদা জিয়া বিদেশিদের উস্কানিতে রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে অপরাজনীতি করেছেন। মানুষ পুড়িয়ে মেরেছেন।’

গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আরশ আলীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বাসদের রেজাউর রশীদ খান, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টু, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ঐক্য ন্যাপ নেতা এস এম সবুর প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই