১৪ ওষুধ কোম্পানিকে অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা
মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ হওয়ায় এক্সিম ফার্মাসহ ২০ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল এবং আদ-দ্বীন ফার্মাসহ ১৪ কোম্পানিকে অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রুলের রায়ের জন্য দিন ধার্য থাকলেও তার পরিবর্তে সোমবার নতুন দিন ধার্য করে দেন আদালত। এর আগে ২০১৬ সালের ৭ জুন ২০টি কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অপর ১৪টি প্রতিষ্ঠানের অ্যান্টিবায়েটিক (ননপেনিসিলিন, পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন) ওষুধ উৎপাদনও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় সেসময়।
গত ৩১ জানুয়ারি এসব ওষুধ কোম্পানির উৎপাদন বন্ধে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ ২০ কোম্পানি হলো, এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল, এভার্ট ফার্মা, বিকল্প ফার্মাসিউটিক্যাল, ডলফিন ফার্মাসিউটিক্যাল, ড্রাগল্যান্ড, গ্লোব ল্যাবরেটরিজ, জলপা ল্যাবরেটরিজ, কাফমা ফার্মাসিউটিক্যাল, মেডিকো ফার্মাসিউটিক্যাল, ন্যাশনাল ড্রাগ, নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যাল, রিমো কেমিক্যাল, রিড ফার্মাসিউটিক্যাল, স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যাল, স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যাল, স্টার ফার্মাসিউটিক্যাল, সুনিপুণ ফার্মাসিউটিক্যাল, টুডে ফার্মাসিউটিক্যাল, ট্রপিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল এবং ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।
এ ছাড়া মানসম্মত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ ১৪টি কোম্পানি হচ্ছে আদ-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যাল, আলকাদ ল্যাবরেটরিজ, বেলসেন ফার্মাসিউটিক্যাল, বেঙ্গল ড্রাগস, ব্রিস্টল ফার্মা, ক্রিস্ট্যাল ফার্মাসিউটিক্যাল, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল, মিল্লাত ফার্মাসিউটিক্যাল, এমএসটি ফার্মা, অরবিট ফার্মাসিউটিক্যাল, ফার্মিক ল্যাবরেটরিজ, পনিক্স কেমিক্যাল, রাসা ফার্মাসিউটিক্যাল ও সেভ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।
এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনে বলা ছিল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চিহ্নিত করতে ২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি দেশের ৮৪টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সরেজমিন পরিদর্শন শেষে দেওয়া প্রতিবেদনে মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হওয়া ২০টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় রিট আবেদনটি করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই